প্রতিবেদন : বস্ত্রশিল্পের ওপর জিএসটি বসিয়ে যখন এই ক্ষেত্রকে সংকটের মুখে ঠেলে দিচ্ছে কেন্দ্র, তখন উল্টোপথে হেঁটে রাজ্যে পোশাক শিল্পে নতুন জোয়ার আনতে পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে সুতোর জোগান দেওয়ার পাশাপশি তাদের উৎপাদিত বস্ত্র কিনে নেবে সরকার। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই নতুন বস্ত্রনীতি চালু হচ্ছে রাজ্যে। পাওয়ারলুম বা যন্ত্রচালিত কাপড় তৈরির ক্ষেত্রে আর্থিক সুবিধা দিতেই এই নীতি আনা হয়েছে। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ (Chandranath Singh) জানিয়েছেন, প্রথমে রাজ্যের দু’হাজার সংস্থাকে এই পাওয়ারলুম ইনসেন্টিভ পলিসির আওতায় সুবিধা দেওয়া হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যে ক্ষুদ্রশিল্পে সাফল্য এসেছে বলে এদিন দাবি করেন চন্দ্রনাথবাবু। বলেন, সুতোর দামের হেরফের হওয়ার কারণে সমস্যায় পড়ছেন পোশাক বা তাঁতশিল্পীরা। তাই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ছ’টি সুতোব্যাঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। সেখান থেকেই বস্ত্রশিল্প সংস্থাগুলি সরাসরি সুতো কিনতে পারবে। যে সংস্থাগুলি কাপড় তৈরি করবে, তাদের সুতোর জোগান দেবে রাজ্য সরকারি সংস্থা তন্তুজ। সেই পোশাক তৈরি হলে, তন্তুজই তা কিনে নেবে। এই ব্যাপারে চারটি পক্ষের মধ্যে চুক্তি হবে— তন্তুজ, টেক্সটাইল, ডিরেক্টরেট ও ব্যাঙ্ক। যারা সরকারের সঙ্গে পোশাক ‘বাই-ব্যাক’ চুক্তিতে আসবে, তাদের ব্যাঙ্ক ঋণ দেবে। পাওয়ারলুম তৈরির জন্য মূলধনের ২০ শতাংশ ইনসেন্টিভ দেবে রাজ্য। স্কুল পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চায় রাজ্য। তার জন্য একাধিক ইন্টিগ্রেটেড টেক্সটাইল পার্ক তৈরি করা হচ্ছে। একদিকে সেই পার্ক গড়তে সরকার যেমন বিদ্যুৎ ও রাস্তা-সহ নানা পরিকাঠামো গড়া হচ্ছে। অন্যদিকে, তৈরি হচ্ছে পাওয়ারলুম কো-অপারেটিভ এবং রেডিমেড গার্মেন্টস কো-অপারেটিভ। স্কুল ইউনিফর্মের কাপড় তৈরির জন্য তন্তুজ ইতিমধ্যেই ৪০টি সংস্থর সঙ্গে চুক্তি করেছে বলে জানিয়েছেন চন্দ্রনাথবাবু।
আরও পড়ুন: Vineet Goyal : কোভিড নিয়ন্ত্রণে মানুষকে পাশে চাইলেন নতুন নগরপাল