মানস দাস, মালদহ: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা মানেই মহিলাদের অগাধ আগ্রহ, উচ্ছ্বাস আর আবেগের মিলনমেলা। মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে এলেই দূরদূরান্তের গ্রাম থেকে দল বেঁধে হাজির হন সাথী রায়, অর্জিলা খাতুন, নিলুফার ইয়াসমিন, মধুমিতা রায়ের মতো অসংখ্য মহিলা। তাঁদের একটাই কথা, দিদিকে একঝলক দেখব, তাঁর কথা শুনব।
সকালের প্রথম আলো ফুটতেই মাঠজুড়ে শুধু সারি সারি মহিলা। কারও হাতে ত্রিপল, কারও কাছে খাবার ও জল। দীর্ঘ প্রতীক্ষাতেও ক্লান্তির চিহ্ন নেই কারও মুখে। প্রত্যাশার দীপ্তি তাঁদের চোখে। মুখ্যমন্ত্রী যে তাঁদের জীবনে বাস্তব পরিবর্তনের নাম। লকডাউনের কঠিন সময়ে রেশন সামগ্রী থেকে শুরু করে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-সহ একাধিক প্রকল্প তাঁদের জীবনে এনে দিয়েছে স্বস্তি ও স্থিরতা। নাফিসা বিবি বলেন, দিদির প্রকল্পে আমরা উপকার পেয়েছি। তাই তাঁর সভা মানেই আমাদের উৎসবের দিন।
আরও পড়ুন-ডিএসপি পদে যোগ দিলেন রিচা ঘোষ
গত কয়েক বছরে মহিলা ভোটারদের সক্রিয়তা রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। মহিলাদের এই স্বতঃস্ফূর্ত সমাগম প্রমাণ করে, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কাছে শুধুই নেত্রী নন, আশ্রয় ও সাহসের প্রতীকও। জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী যখন বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন, তখন হাততালিতে ভরে ওঠে চারদিক। সাথী রায়ের মতে, দিদির দেওয়া সুবিধার জন্য তাঁর সভায় থাকা আমার দায়িত্ব। অন্যদিকে নিলুফার ইয়াসমিন বলেন, তিনি আমাদের অভিভাবক। তাই তাঁর ডাকে আমরা ছুটে আসি। তাঁদের কথায় স্পষ্ট, মহিলাদের হৃদয়ে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বিশেষ জায়গা আছে। এই অটুট ভরসাই তাঁদের প্রতি বছর টেনে আনে জনসভায়, শুধু কাছ থেকে তাঁকে দেখার, তাঁর কথা শোনার আকাঙ্ক্ষায়।

