ত্রিপুরা ছাড়লেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে থাকাকালীন তিনি বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। আজ সেখান থেকে ফিরে আসার সময়েও কংগ্রেসের রাজনৈতিক ধ্যানধারণা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। কংগ্রেসের আদর্শে যে এখন আর রাজনীতি হয় না সেটা বুঝিয়ে দিলেন নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে।
আরও পড়ুন-মার্চে জোড়া ফিফা ফ্রেন্ডলি খেলবেন সুনীলরা
এদিন ত্রিপুরা থেকে ফেরত আসার সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কংগ্রেসেকে দুর্বল করছে না তৃণমূল। তৃণমূল সেখানেই যাচ্ছে, যেখানে বিজেপি আছে।কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে আমরা যাচ্ছি না।যদি তাদের দুর্বল করতে চাইতাম তাহলে পাঞ্জাব যেতাম। যেতাম ছত্তীশগড়, ঝাড়খন্ড, মহারাষ্ট্র।কংগ্রেসের অনেক নেতা যোগাযোগ করে।তাহলে তো দলটাই উঠে যেত।আমরা যেমন ইউপি’তে যাব না। কিন্তু কংগ্রেসকে শীতঘুম ভেঙে বেরোতে হবে।দিল্লি থেকে বসে চারটে প্রেস কনফারেন্স ও ট্যুইট করলে হবে না।আমি কলকাতায় বসে ত্রিপুরা জিতব এটা হয় না।হাজার আইনি লড়াই, বিপত্তি উড়িয়ে আমি তো ত্রিপুরা আসছি।তাই কংগ্রেসকে দুর্বল করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।বিজেপিকে হারানোই আমার কাজ।’
আরও পড়ুন-উদ্বেগের সঙ্গে বিরক্তি বাড়াচ্ছেন জকোভিচ
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘আক্রমণ টিএমসির ওপরেই হচ্ছে। গঠনমূলক বিরোধিতা সিপিএম ১৬ আসন পেয়েও করেনি। টিএমসি যে শক্তি নিয়ে এখিন ঝাঁপিয়েছে তা আগে ছিল না।কাউকে জোর করে দলে নিয়ে আসা হবে না। কেউ স্বেচ্ছায় আসতে চাইলে দলে ওয়েলকাম। ভয় দেখিয়ে কাউকে দলে আনা হবে না। নিঃশর্তে দলে আসতে হবে। মাঠে ময়দানে পরে থেকে লড়াই করতে হবে। আগামী এক বছর রাস্তা মসৃণ নয়। কারণ শূন্য থেকে শুরু করেছি।’
আরও পড়ুন-বিরাটের বড় রান করা শুধুই সময়ের অপেক্ষা, অধিনায়কের পাশে দাঁড়ালেন দ্রাবিড়
নিজেদের পরিবর্তন সম্পর্কে এদিন তিনি বলেন, ‘২০১৩ টিএমসি আর ২০২২ টিএমসি আলাদা। কোনও কিছুর বিনিময়ে তৃণমূলে নেওয়া হবে না।
আগামী কিছু মাসের মধ্যেই নতুন পার্টি অফিস হবে। রাজ্য কমিটি ঘোষণা হয়ে যাবে চলতি মাসেই। বাকি কমিটি সময় সাপেক্ষ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মুখ যোগ দিতে চাইছে। তারা আগে যোগ দিক।দলের মুখপাত্র নিয়োগ হবে ত্রিপুরার জন্যে আলাদা করে
ময়দান ছেড়ে যাওয়া যাবে না। মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে।মমতা বন্দোপাধ্যায় এখন জাতীয় মুখ। তাকে দেখেই আশার আলো দেখছে মানুষ।’