প্রতিবেদন : উৎসবের মেজাজে কলকাতায় শুরু হল ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকা (Vaccine) দেওয়া। সোমবার এই উপলক্ষে বেশ কয়েকটি টিকা (Vaccine) কেন্দ্রকে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল মনোরম পরিবেশ তৈরির জন্য। স্কুলগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা দাঁড়িয়ে থেকে উদ্বুদ্ধ করেছেন ছাত্রছাত্রীদের টিকা নিতে। ভ্যাকসিনেশনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছেন। যারা একটু ইতস্তত করছিল বা ভয় পাচ্ছিল, কাউন্সেলিংও করা হয়েছে তাদের।
এদিন টিকা দেওয়া শুরু হয় কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের উপস্থিতিতে। সকালে চেতলা গার্লস স্কুলে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। হাতিবাগানের টাউন স্কুলে কর্মসূচির সূচনা করেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। কলকাতার ১৬টি বরোর ১৬টি সরকারি স্কুলে এদিন থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে শহরের ৫০টি স্কুলে সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর মধ্যে থাকছে বেশ কিছু বেসরকারি স্কুলও। শহরের ৩৭টি কোভ্যাকসিন সেন্টার থেকেও দেওয়া হবে প্রতিষেধক। এদিন ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, সারদা ইনস্টিটিউশন ফর গার্লস, গভর্নমেন্ট স্পনসরড মাল্টিপারপাস স্কুল ফর বয়েজ, টাকি হাউস, চেতলা গার্লস হাইস্কুল, সন্তোষপুর ঋষি অরবিন্দ বালিকা বিদ্যালয়, গার্ডেনরিচ নুটবিহারী গার্লস হাইস্কুল-সহ কলকাতার একাধিক স্কুলে টিকাকরণ হচ্ছে। কোউইন পোর্টালে নাম রেজিস্ট্রেশন করে এই টিকা নিতে হবে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের আধার কার্ড নিয়ে যেতে হবে। যাদের বয়স ১৫ থেকে ১৮ বছরের কম কিন্তু স্কুলছুট হয়েছে বা স্কুলে পড়ে না, এমন নাবালক বা নাবালিকাদের পুরসভার টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে হবে। প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র কোভ্যাকসিন দেওয়া হবে৷ প্রথম ডোজের ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-প্রয়োজনে পড়ুয়াদের বাড়ি যাবেন শিক্ষকরা
২০০৭ সাল এবং তার পরবর্তী তিন বছরে যাদের জন্ম হয়েছে, তারাই এই নির্দিষ্ট বয়সসীমার আওতায় কোভিডের টিকা নিতে পারবে৷ অন্যদিকে অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, যে সব পড়ুয়ার আধার কার্ড বা স্কুলের আই কার্ড নেই তারা রেশন কার্ড দেখিয়েও টিকা নিতে পারবে। অভিভাবকদের কাছে তাঁর অনুরোধ, তাঁরা যেন সন্তানদের টিকা নেওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করেন। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। টিকা নিলে প্রায় সবারই অল্প জ্বর আসছে। গলা ব্যথা, গা হাত পা ব্যথার মতোও উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। কিন্তু এর বাইরে কিছু হচ্ছে না। তাই ভয়ের কোনও কারণ নেই। এগুলি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই চলে যাবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শও নেওয়া যেতে পারে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভয় পেয়ে নাবালক বা নাবালিকাদের ভ্যাকসিন না দেওয়ানো, অত্যন্ত ভুল সিদ্ধান্ত হবে।