জোহানেসবার্গ : বুমরা ২২ গজে প্রথম যে বলটা পেলেন, সেটা নির্ঘাৎ মুখে হাওয়া দিয়ে চলে গেল! রাবাডা হাসলেন। ওই কেমন দিলাম গোছের। বুমরাও হাসলেন। উইকেটের পেস-বাউন্স দেখে। গতির উইকেটে সিমারদের দাদাগিরি যে চলবে, ঘোষণা হয়ে গেল এতেই!
সেঞ্চুরিয়ন, মানে আফ্রিকানদের অঘোষিত দুর্গে ধুন্ধুমার অভিযান চালিয়ে বিরাট কোহলিরা শুধু ১-০ করে ফেলেননি, অফ্রিকানদের (India VS south Africa) গোপন গর্বে ঘা পর্যন্ত দিয়ে ফেলেছেন। সুতরাং ওয়ান্ডারার্সে এরকম সবুজ উইকেট প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু যেটা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত, সেটা হল টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে থাকা দলের এমন ভয়ঙ্কর ব্যাটিং ভরাডুবি। তাও প্রথম টেস্ট ১১৩ রানে জেতার পর। ৬৩.১ ওভারে গুটিয়ে গেল ভারত। বোর্ডে ২০২। প্রথম দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা এক উইকেটে ৩৫। আউট হয়েছেন মার্করাম (৭) সিরাজের বলে। দুই নটআউট ব্যাটসম্যান এলগার (১১) ও পিটারসন (১৪)।
আরও পড়ুন-ওয়াকার-আক্রমের সঙ্গে বুমরাদের তুলনা মঞ্জরেকরের
বিরাট পিঠে ব্যথা নিয়ে ছিটকে যাওয়ায় প্রথমবার টেস্ট ক্রিকেটে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কে এল রাহুল। সেঞ্চুরিয়নের ফর্ম ধরে রেখে এখানেও হাফ সেঞ্চুরি (৫০) করে গেলেন তিনি। কিন্তু শেষদিকে অশ্বিন (৪৬) ছাড়া আর একজনও এই উইকেটে অলিভার-রাবাডা-জেনসেনকে সামলাতে পারেননি। অথচ মায়াঙ্ক (২৬), হনুমা (২০), ঋষভ (১৭) কিন্তু সেট হয়ে গিয়েছিলেন। লাঞ্চের আগে জেনসেন প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন মায়াঙ্ককে তুলে নিয়ে। ভারত তখন ৩৬। তারপর অলিভার জোড়া ধাক্কায় স্কোর দাঁড় করিয়ে দেন ৫৩-৩। দুটো উইকেট পূজারা (৩) ও রাহানের (০)।
পূজারা ডিফেন্স করতে গিয়েছিলেন। বল তাঁর ব্যাটের উপরে লেগে পয়েন্টে সহজ ক্যাচ যায় বাভুমার হাতে। রাহানে গেলেন অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে ব্যাট বাড়িয়ে। গালিতে তাঁর ক্যাচ নিলেন কিগান পিটারসন। এই দু’জন শেষ কবে বড় রান করেছেন, নিজেরাও সম্ভবত ভুলে গিয়েছেন! কিন্তু ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের এঁদের উপর অগাধ আস্থা। তাই বারবার সুযোগ পাচ্ছেন।
বিরাট না খেলায় অটোমেটিক চয়েস ছিলেন শ্রেয়স। কিন্তু তিনিও পেটের সমস্যায় বাইরে থাকলেন। যাঁকে আনা হল, সেই হনুমা একবার জীবন পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ। দক্ষিণ আফ্রিকার (India VS south Africa) বোলারদের মধ্যে জেনসেন নিলেন চার উইকেট। তিনটি করে উইকেট রাবাডা ও অলিভারের।