প্রতিবেদন : কলকাতা থেকে রাজ্য। লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সংক্রমণের এই বৃদ্ধি নানা সংশয় তৈরি করেছে আমজনতার মনে। আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই অবস্থায় সবাইকে আশ্বস্ত করতে এগিয়ে এলেন শহরের কয়েকজন নামী চিকিৎসক। মঙ্গলবার এই নিয়েই এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে সাংবাদিক বৈঠক করলেন তাঁরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরি, দীপ্তেন্দ্র সরকার, কুণাল সরকার ও যোগীরাজ রায়।
আরও পড়ুন-বৃষ্টির সম্ভাবনা পৌষেই, বাড়তে চলেছে গরম
এসএসকেএমের বিশিষ্ট চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলেন, তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে আমরা ঢুকে পড়েছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় এই পর্বে মাত্র ৭ দিনে সংক্রমণ বেড়েছিল প্রায় একশো শতাংশ। আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। মাস্ক বাধ্যতামূলক করতে হবে। একবার হয়েছে বলে আর করোনা হবে না, এমন ভাবনাকে একেবারে প্রশ্রয় না দেওয়ার অনুরাোধ জানান তাঁরা। বাস্তব বলছে, অনেকেই দু’বার কেউ বা তিনবারও আক্রান্ত হয়েছেন। এক্ষেত্রে প্যারাসিটামলই হল আসল ওষুধ। অন্যান্য ওষুধ না খাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে আসল ওষুধ হল শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা। সেটা বাড়ানোর কাজ করতে হবে। শরীর অনুযায়ী বিশেষ ওষুধ খেতে হবে। তবে এত কিছুর মধ্যেও ভাল খবর একটাই, তা হল পাঁচ থেকে সাতদিনের মধ্যেই মোটামুটি সবাই সুস্থ হয়ে উঠছেন।
আরও পড়ুন-২৪ ঘণ্টায় ১০ লক্ষ ৪২ হাজার আক্রান্ত আমেরিকায়
চিকিৎসক কুণাল সরকার এই পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে সিদ্ধান্ত ফের একবার ভেবে দেখার অনুরোধও জানান। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে যা বেড আছে তার উপর ফের চাপ বাড়তে চলেছে। মানুষ যদি সচেতন হন, তা হলে সেই চাপ এড়ানো যেতে পারে। সব মিলিয়ে তিনি বারবারই ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে তিনি এও জানিয়ে দেন যে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে এখনও পর্যাপ্ত সংখ্যায় কোভিড বেড রয়েছে। একই সঙ্গে এদিন আইসোলেশনে থাকার দিনসংখ্যা নিয়েও সংশয় দূর করেন তাঁরা। এ বিষয়ে তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, পরিস্থিতি বুঝে চিকিৎসকরাই দিনসংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেবেন। করোনা চিকিৎসায় অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন ডাঃ যোগীরাজ পাল।