নয়াদিল্লি : তৃণমূল কংগ্রেস এখন জাতীয় স্তরে সংগঠিত হচ্ছে। বিজেপিশাসিত রাজ্য হরিয়ানাতেও তৃণমূল কংগ্রেস তার বিস্তার ঘটাচ্ছে সদ্য দলে যোগ দেওয়া অশোক তানোয়ারের নেতৃত্বে। দিল্লিতে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দলে যোগ দিয়েছিলেন হরিয়ানা কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা ও রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ তানোয়ার। তারপর থেকেই হরিয়ানায় তৃণমূল কংগ্রেসের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। গুরুগ্রামে তৃণমূল পার্টি অফিস উদ্বোধন থেকে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন হয়েছে মহা উৎসাহে। এরপর মঙ্গলবার হরিয়ানার রোহতকে কংগ্রেসের কয়েকশো কর্মী-সমর্থক যোগদান করলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
আরও পড়ুন-বায়োমেট্রিক বন্ধের সিদ্ধান্ত
এদিকে আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে হরিয়ানায় তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে প্রগতি যাত্রা। ঘোষণা করা হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক কর্মসূচির কথা। আগামী মাস থেকেই হরিয়ানার ২২টি জেলায় করা হবে দলের অ্যাড-হক কমিটিও। ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে হরিয়ানার সমস্ত জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় খোলার। মঙ্গলবার হরিয়ানার রোহতকে দাঁড়িয়ে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা অশোক তানোয়ার জানান, হরিয়ানাবাসীর এখন একটাই সংকল্প, ২০২৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বিকল্প। হরিয়ানার শাসকদল বিজেপি ক্রমাগত বঞ্চিত করে চলেছে দেশের যুবশক্তিকে। এই মুহূর্তে হরিয়ানায় বেকারত্বের হার ৩৪ শতাংশ। বর্তমান সরকারের দুর্নীতি চরমে উঠেছে।
আরও পড়ুন-কোভিডের তৃতীয় ঢেউ শুরু ভারতে, মত কেন্দ্রীয় টিকা কমিটির প্রধানের
যেকোনও ভর্তির পরীক্ষা বা সরকারি পরীক্ষার আগে প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যাওয়া এরাজ্যে একটা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই শুধু কৃষকরাই নয়, জাঠরা এবং রাজ্যের যুবশক্তিও বীতশ্রদ্ধ বিজেপি সরকারের উপরে। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অশোক তানোয়ারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতার মন্তব্য, আমি জনতার মধ্যে থাকি। আমার সুরক্ষা সরিয়ে নিয়েছে, সেটা বড় কথা নয়। কিন্তু হরিয়ানা সরকার কি জনসাধারণের সুরক্ষার ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি দিতে পারবে?