প্রতিবেদন : তৃণমূল কংগ্রেসের তিন হেভিওয়েট তথা জনপ্রিয় প্রার্থীর দিকে তাকিয়ে শহরবাসী। এঁরা হলেন শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান গৌতম দেব, দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য রঞ্জন সরকার এবং দার্জিলিং জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। এই তিন জনের হাত ধরেই শিলিগুড়িতে ফিরবে উন্নয়ন। বিশ্বাস সাধারণ মানুষের। এই তিন প্রার্থীর লক্ষ্য, জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রদর্শিত পথে শিলিগুড়ি পুর এলাকার সার্বিক প্রগতি। তৃণমূল কংগ্রেস এককভাবে কখনওই শিলিগুড়ি কর্পোরেশন (Siliguri Municipal Corporation) দখল করতে পারেনি। তবে এবারে উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই সুযোগ এসেছে কর্পোরেশন (Siliguri Municipal Corporation) দখল করার। গত সাত মাসে প্রশাসনিক বোর্ডে থেকে গৌতম দেব, রঞ্জন সরকার যেভাবে নাগরিক সমস্যার সমাধান করেছেন তাতে মানুষ ভরসা করতে চাইছেন তৃণমূল কংগ্রেসের উপরই। শহরের উন্নয়নের মূল কান্ডারি গৌতম দেব এবারের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী। তাঁর বাড়ি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজ পাড়াতে। এই ওয়ার্ড শহরে মডেল ওয়ার্ড নামে পরিচিত। নির্বাচনে জিতে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডকে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মতো মডেল ওয়ার্ড করতে চাইছেন তিনি।
গৌতমবাবু জানিয়েছেন, হেভিওয়েট বা মেগা প্রার্থী কিনা জানি না আমি। তবে মানুষ আমাদের ক্ষমতায় আনলে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচুর কাজ করব। এই ওয়ার্ডে কাজ করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি ওয়ার্ডের উন্নয়নে রোডম্যাপ তৈরি করে ফেলেছেন। তিনি বলেন ওয়ার্ডে অনেক মন্দির রয়েছে সেগুলো সংস্কার করা-সহ বাচ্চাদের পার্ক জল নিকাশি ব্যবস্থা গুরুত্ব পাবে। এ ছাড়াও ওয়ার্ডে প্রায় ছোট-বড় মিলিয়ে দু’শোর বেশি রাস্তা রয়েছে। সে রাস্তাগুলির সংস্কার প্রয়োজন। এইখানে নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের বসবাস তাই চাহিদা তেমন কিছু না থাকলেও সঠিক পরিষেবা পেতে ওয়ার্ডবাসীও চাইছে এখান থেকেই জিতুক গৌতম দেব।
আরও পড়ুন-ভােট বানচাল করতে বিজেপির নতুন খেলা
অন্যদিকে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অন্যতম মেগা প্রার্থী। তাঁর নিজের কুড়ি নাম্বার ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষণ হওয়ার কারণে এবারে তিনি প্রার্থী হয়েছেন ১৫ নাম্বার ওয়ার্ড থেকে। অভিভাবকহীন এই ওয়ার্ডে অনেকদিন ধরেই কোনও জনপ্রতিনিধি নেই। তাই কাজের প্রয়োজন যতটুকু ছিল সে তুলনায় কাজ হয়নি। তাই রঞ্জনবাবুর বক্তব্য, ক্ষমতায় এসে পরিষেবার ঘাটতি মেটানোই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। পাশাপাশি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। ড্রেনেজ সিস্টেম কেউ আপগ্রেড করার কথাও বলেছেন রঞ্জনবাবু। মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চান তিনি। অভিভাবকহীন ওয়ার্ডে রঞ্জনবাবুকে পেয়ে আপ্লুত ওয়ার্ডবাসী। তৃণমূলের অন্যতম জনপ্রিয় প্রার্থী যুবনেতা কুন্তল রায়। প্রথমবার নির্বাচনের ময়দানে নেমে তিনি লড়ছেন ২১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে।