করোনা বাড়ছে, শীতঘুমে বিজেপি আলিপুরদুয়ার

এই পরিস্থিতিতে যখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দলমতনির্বিশেষে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী, নেতা–‌কর্মীরা।

Must read

সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার : কথায় বলে, বিপদের দিনেই মানুষ চেনা যায়। দিনদিন ঊর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ। এই পরিস্থিতিতে যখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দলমতনির্বিশেষে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী, নেতা–‌কর্মীরা। তখন কোথাও টিকি মিলছে না বিজেপির কারও। তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকর্মীরা জেলায় জেলায় সচেতনতায় প্রচারে ব্যস্ত।

আরও পড়ুন-করোনার থাবা বন্ধ হল গর্ভগৃহ

কেউ আক্রান্তের বাড়িতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দিচ্ছেন, কেউ আইসোলেশন বা হাসপাতালে কীভাবে রোগীদের রাখা যায়, তা নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করছেন, সেই সময়ে বিজেপির নেতা–‌কর্মীরা চলে গিয়েছেন শীতঘুমে। ভোটের আগে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিষেবায় ভরিয়ে দেওয়ার কথা বললেও আদতে যে তারা মিথ্যাচারেই বিশ্বাসী, তা নির্বাচনের পরে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন মানুষ। আলিপুরদুয়ার টাউন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় কেউ করোনা আক্রান্ত হয়েছে শুনলেই ছুটে যাচ্ছেন। নিয়মিত পৌঁছে দিচ্ছেন খাদ্যসামগ্রী।

আরও পড়ুন-মজদুর ট্রেড ইউনিয়ন

বিপরীতে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী— ‘‌চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’‌ নীতি নিয়ে হওয়া। জেলা তৃণমূলের সভাপতি প্রকাশ চিক বাড়াইক বললেন, ‘‌জেলার সাধারণ মানুষ বিজেপি নেতাদের নিয়ে অত্যন্ত বিরক্ত। জেতার পর কোনও উন্নয়নমূলক কাজ তো করেইনি, মানুষের এই বিপদের দিনে পাশে না দাঁড়িয়ে পালিয়ে গিয়েছে। আমরা দিদির আদর্শ সামনে রেখে মানুষের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব।’‌ পুর প্রশাসক তথা তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ কর প্রতিদিন সকালে বিভিন্ন বাজারে গিয়ে মানুষকে সচেতন করছেন। উল্লেখ্য, নতুন করে করোনা বাড়ছে জেলায়। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৯ জন। মোট সংক্রমিত ৫৫।

Latest article