প্রতিবেদন : রাজ্য জুড়েই ঊর্ধ্বমুখী করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ। কিন্তু আগের দুটি ঢেউয়ের মত এবারও সংক্রমনের কেন্দ্রে রয়েছে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা ও হাওড়ার মত সংলগ্ন জেলা। আবার গ্রামীণ এলাকার তুলনায় শহর ঘেঁষা এলাকায় সংক্রমনের হার অনেক বেশি বলে দেখা যাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যানে। কলকাতা লাগোয়া বিধাননগরে করোনা পরিস্থিতির ছবি যথেষ্ট আশঙ্কা জনক। ওই উপনগরীতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ ছড়িয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ৭০ শতাংশ অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর বাস বিধাননগরে!এমত অবস্থায় সল্টলেকের বিভিন্ন ব্লকে তৈরি হয়ে গেছে একাধিক কনটেনমেন্ট জোন। অজস্র বহুতলের সামনে ঝুলছে মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোনের নোটিশ। সল্টলেক সেক্টর ওয়ান, সেক্টর থ্রি, বাঙুর অ্যাভিনিউ, লেকটাউন, সল্টলেক, বাগুইহাটি মিলিয়ে বিধাননগর মহকুমার মোট ২১ টি এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সাপুরজি কমপ্লেক্সের একাংশও কনটেনমেন্ট জোনের তালিকায় আছে।করোনা থাবা বসিয়েছে কেন্দ্র রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতর, পুরসভা থেকে হাসপতাল এমনকি পুলিশ কমিশনারেট-এও। বিধাননগরের কমিশনার খোদ করোনায় (Coronavirus) আক্রান্ত। এই লাগামছাড়া করোনা পরিস্হিতির প্রভাব পড়েছে বিধাননগর পুরসভার আসন্ন পুর ভোটের প্রচারেও। মিছিল, জনসভা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের বদলে ভার্চুয়াল প্রচারেও ভরসা রাখতে হচ্ছে প্রার্থীদের। বিধাননগরের করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৎপর রয়েছে পুরসভা ও প্রশাসন।করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের বিশেষ দল গঠন করেছে স্বাস্থ্য দফতর। প্রতিটি দলে ৪ জন করে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট রয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনার দলটি মোতায়েন করা হয়েছে বিধাননগর হাসপাতালে। হাটে-বাজারে, রাস্তায় পুলিশের পক্ষ থেকে লাগাতার মাইকিং করা হচ্ছে মানুষকে সচেতন করার জন্য। কড়া নির্দেশ আছে মাস্ক ছাড়া যেন অটোতে যাত্রী না নেওয়া হয়। বাসচালকদেরও জানানো হচ্ছে মাস্ক না ব্যবহার করলে যেন কোনও যাত্রীকে বাসে না তোলা হয় এবং পথচলতি মানুষদের একইরকমভাবে সচেতন করার কাজ চলছে। পাশাপাশি বিধাননগর পুলিশের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গোয়ায় আরও একটি দলীয় দফতরের উদ্বোধন, কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ তিনবারের কাউন্সিলরের