প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি রুখতে টিকাকরণে গতি আনার ওপর জোর দিচ্ছে নবান্ন। কিন্তু রাজ্যের বহু মানুষই এখনো দু’ডোজ টিকা পাননি। এদের চিহ্নিত করে দ্রুত টিকাকরণ সম্পূর্ন করতে রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মুখ্য সচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী আবারও এই নির্দেশ দেন।।তাঁর নির্দেশ মত নির্ধারিত সময়ের পর দ্বিতীয় ডোজের টিকা বাকি আছে (ওভারডিউ) এরকম মানুষদের জেলাওয়ারী তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-ক্ষমতায় এলে ২৫০ দিনে গৃহহীনদের ঘর, গোয়ায় ঘোষণা তৃণমূল কংগ্রেসের
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এইসব মানুষদের টিকাকরণের কাজ শেষ করা হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।নবান্নে জমা পড়া তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে সময় পেরিয়ে গেলেও দ্বিতীয় ডোজের টিকা না নেওয়ার প্রবণতা রাজ্যের ৯ টি জেলায় সর্বাধিক। এবং সেই তালিকায় সবার উপরে রয়েছে রাজধানী কলকাতার নাম! এর পরেই রয়েছে মালদহ, বীরভূম, কোচ বিহার, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ২৪ পরগনা। কলকাতায় এখনও ২ লক্ষ ৮২ হাজার মানুষ নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও দ্বিতীয় ডোজ এখনও নেননি। অথচ রাজ্যের করোনা সংক্রমণ মানচিত্রে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। মালদা জেলায় ওভারডিউ সংখ্যা নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে আছে। যেখানে এখনও ২ লক্ষ ১৪ হাজার মানুষের দ্বিতীয় ডোজ টিকা বকেয়া রয়েছে।
আরও পড়ুন-বুধবার স্বামী বিবেকানন্দর জন্মদিবসে ডায়মন্ড হারবারে ৩০ হাজার কোভিড টেস্ট হতে চলেছে
তৃতীয় স্থানে থাকা মুর্শিদাবাদ জেলায় ২ লক্ষ ১০ হাজার মানুষের দ্বিতীয় ডোজের কোভিড টিকা বকেয়া রয়েছে। বাকি সমস্ত জেলাতেও লক্ষাধিক টিকা প্রাপকের দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়া বাকি আছে। মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী এই ৯ জেলায় টিকাকরণ পর্ব যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সম্পন্ন করতে প্রশাসনকে অভিযানে নামার নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি গত সাত দিনে কলকাতা শহর রাজ্যের যে সমস্ত জেলায় করোনা সংক্রমণ অত্যধিক হারে বেড়েছে সেখানে টিকাকরণের গতি আরও বাড়াতে এবং কোভিড বিধি-নিষেধ নিয়ে কড়াকড়ি আরও জোরদার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।