প্রতিবেদন : বাদ পড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। হাইকোর্টের নির্দেশে গঙ্গাসাগর মেলার নজরদারি কমিটি থেকে শুক্রবার বাদ দেওয়া হল তাঁর নাম। ৩ জনের কমিটি সম্পূর্ণ ভেঙে দিয়ে নতুন করে তৈরি করা হল দু’জনের কমিটি। নতুন কমিটিতে থাকছেন শুধুমাত্র অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় এবং লিগ্যাল সার্ভিসের সচিব। পাশাপাশি গঙ্গাসাগর মেলার বিষয়ে আবারও সম্মতির কথা জানিয়েছে আদালত। তবে শর্ত কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে। প্রথমে শুধুমাত্র মেলা গ্রাউন্ডকে নোটিফায়েড হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এবারে পুরোপুরি গঙ্গাসাগর এলাকাটিকেই নোটিফায়েড এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে। এখানে রাজ্য সরকার নির্দ্ধারিত বিধি পালন করতে হবে অক্ষরে অক্ষরে।
আরও পড়ুন-হিডকোর ফের এমডি দেবাশিস সেন
সেই অনুযায়ী লোক সমাগমের সংখ্যা স্থির করা হবে। বাধ্যতামূলক আরটিপিসিআর টেস্টও। তবে কিছু চিকিৎসকের মেলা বন্ধ করার আবেদন গ্রাহ্য হল না। সবমিলিয়ে গঙ্গাসাগর মেলার ক্ষেত্রে আর কোনও আইনগত বাধা রইল না। মঙ্গলবার মামলাটি উঠেছিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে। সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নজরদারি কমিটিতে রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁকে বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে ৫টি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা হয়েছিল রাজ্যের পক্ষ থেকেও।
আরও পড়ুন-সালকিয়ায় করোনার বিরোধী প্রচার
মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে কমিটিতে রাখা হোক শুধুমাত্র চিকিৎসা জগতের সঙ্গে যুক্ত মানুষ এবং বিশেষজ্ঞদের। উল্লেখ্য, আদালত নিযুক্ত আগের কমিটিতে বিরোধী দলনেতা ছাড়াও রাখার কথা বলা হয়েছিল রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সনকে। গঙ্গাসাগরে আরটিপিসিআর টেস্টও বাধ্যতামূলক করার দাবি জানানো হয়েছিল। কমিটি পরিবর্তন এবং আরটিপিসিআর টেস্টের আবেদন গ্রাহ্য হল আদালতে।