প্রতিবেদন : ঠিক যেন ঘরের মেয়ে। বরাবরই শান্ত, ধীর-স্থির, নম্র। হাসি লেগেই আছে ঠোঁটের কোণে,অথচ দৃঢ়প্রত্যয়ী। রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত বোধহয় এতটুকু বদলাননি কৃষ্ণা চক্রবর্তী (Krishna Chakraborty)। একসময় ছিলেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী। ২০১১তে তৃণমূল কংগ্রেস বিধাননগর (Bidhannagar) পুরসভার পরিচালনার দায়িত্বে আসার সময় থেকেই কাউন্সিলরের ভূমিকায় কৃষ্ণা। প্রথমে চেয়ারপার্সন, তারপরে ২০১৯-এর ১০ অগাস্ট থেকে মেয়রের গুরুদায়িত্বে। মেয়র হিসেবে তো বটেই, মুখ্য প্রশাসক হিসেবেও বিধাননগরে (Bidhannagar) নাগরিক পরিষেবার মানকে তিনি এমন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন যে এবারের পুরনির্বাচনে বিরোধীরা আর সে অর্থে কোনও ইস্যুই খুঁজে পাচ্ছেন না প্রচারে। কৃষ্ণা চক্রবর্তীর সবচেয়ে বড় সাফল্য, বিধাননগরের জলের সমস্যা সমাধান হয়েছে তাঁরই সময়ে। মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ আনুকূল্যে গতবছর পুজোর সময় থেকে প্রতিটি বাড়িতে দিনে ৪ বার পৌঁছে যাচ্ছে মিষ্টি পানীয় জল। সমাধান হয়েছে জলনিকাশি সমস্যারও। প্রতিটি ওয়ার্ডে এখন এলইডি আলোর বন্যা, মুক্ত বাতাসভরা ঝকঝকে মনোরম পার্ক। তবুও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে কৃষ্ণা পৌঁছে যাচ্ছেন এলাকার মানুষের দরজায় দরজায়। হাতজোড় করে মুখভরা হাসি নিয়ে চাইছেন আশীর্বাদ। প্রত্যুত্তরে অনেকেই বলছেন, ‘কষ্ট করে আসার কী দরকার ছিল? সারা বছরই তো পাশে থাকেন আমাদের।’ কৃষ্ণা চক্রবর্তীর কথায়, ‘রুটিন কাজে আরও পারফেকশন আনতে চাই আমি।’ কোভিডের প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় প্রতিটি ব্লকে দু’টি করে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর দিয়েছেন তিনি। বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন খাবার, ওষুধ। এবারেও নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে করোনা-সচেতনতা জাগিয়ে তুলছেন তিনি। মাস্ক তুলে দিচ্ছেন হাতে হাতে। কোভিড-বিধি অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি চায় দিদির প্রতিনিধি