অসীম চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর : আবার নতুন করে বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানার জমি রাজ্যের হাতে ফিরিয়ে দেবার দাবি উঠল তৃণমূলের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের পক্ষ থেকে। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কেন্দ্রের বিভিন্ন দফতরে ধারাবাহিকভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের যে সমস্ত শিল্প কারকানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেই বন্ধ কারখানার জমিগুলি রাজ্য সরকারকে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে এসেছেন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পরিষদ থেকে দুর্গাপুর নগর নিগমের কর্তারা। মূলত কেন্দ্রের ভারী শিল্প মন্ত্রকের কাছে বারংবার আর্জি জানানো হয়েছে যাতে বন্ধ হয়ে যাওয়া এমএএমসি, বিওজিএল, এইচএফসি, জেশপ, বার্ণ স্ট্যান্ডার্ড ইত্যাদি কারখানার জমিগুলি রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-ভোট পিছলেও চলবে প্রচার
প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রকে চিঠি লিখে এমএএমসি কারখানা খোলার ব্যাপারে নতুন করে উদ্যোগী হবার আহ্বান জানান। পার্থবাবু কেন্দ্রকে অনুরোধ জানান, হয় এই কারখানায় দ্রুত উৎপাদন শুরু করুক ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড (বিইএমএল), কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড (সিআইএল) এবং দামোদর ভ্যালী কর্পোরেশন (ডিভিসি) র মিলিত কনসোর্টিয়াম,অথবা কারখানার জমি রাজ্য সরকারকে ফিরিয়ে দেবার ব্যাপারে উদ্যোগী হোক কেন্দ্র। দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার সেই আবেদনে কর্ণপাত করেনি। পরবর্তীতে নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী ও সচিব পর্যায়ে অসংখ্য চিঠি লিখেও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন-পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ব্যর্থ রেল
ফলে আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে কয়েক হাজার একর জমি। অথচ রাজ্য সরকারের আবেদনে এই শিল্পাঞ্চলে বেশ কয়েকজন শিল্পপতি নতুন শিল্প স্থাপন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেও প্রয়োজনীয় জমি পাচ্ছেন না। এদিকে বেসরকারি ক্ষেত্রে প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বলে একটি সমীক্ষক দল তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এডিডিএ-র বেশ কিছু জমি শিল্পপতিদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানান সংস্থার চেয়ারম্যান ও তৃণমূল বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-শিক্ষাক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে ‘মডেল মাদ্রাসা’
তিনি বলেন, একটি বেসরকারি শিল্প সংস্থা তাদের ইস্পাত কারখানার সম্প্রসারণের জন্য পাঁচ একর জমি চেয়েছে এডিডিএ-র কাছে। ওই সংস্থার শীর্ষ কর্তা সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, কারখানা সম্প্রসারণের কাজে তাঁরা আরো অতিরিক্ত দুশো কোটি টাকার উপর বিনিয়োগ করতে চান। এই সম্প্রসারণের ফলে আরও ২৫০ জনের কর্মসংস্থান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান সুদীপ্তবাবু। মাস কয়েক আগে পানাগড়ে একটি বেসরকারি পলিমার কারখানার উদ্বোধন করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিল্পপতিদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছিলেন, এই শিল্পাঞ্চলে জমির কোন ঘাটতি নেই।