প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রীর ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের সাফল্যের কাহিনি এখন গোটা বিশ্বে আলোচিত। মেয়েদের মধ্যে স্কুলছুটের হার কমানোর পাশাপাশি নাবালিকা মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা রুখতেও উল্লেখযোগ্য সাফল্য মিলেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বীকৃত ওই প্রকল্পে। ওই প্রকল্পের পরিপূরক হিসাবেই মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত ভারত প্রকল্প ‘রূপশ্রী’ (Rupashree) ও সাফল্যের নতুন নজির তৈরি করল। রূপায়ণের চার বছরের মধ্যে রাজ্যের ১২ লক্ষ মেয়েকে ওই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। দুঃস্থ পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা করতে ২০১৮ সালে ‘রূপশ্রী’ (Rupashree) প্রকল্প চালু হয় রাজ্যে।
আরও পড়ুন – সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি ও কংগ্রেস কে এক হাত নিলেন কুণাল ঘোষ
পরিবারের বার্ষিক আয়ের দেড় লক্ষ টাকা বা তার কম হলে প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের বিয়ের জন্য এককালীন ২৫ হাজার টাকা পাওয়া যায় ওই প্রকল্পের আওতায়। রাজ্যের নারী শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতর সূত্রে খবর, ‘রূপশ্রী’ প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুবিধা পেয়েছেন ১১ লক্ষ ৭১ হাজার পাত্রী। শুধু চলতি আর্থিক বছরেই এই প্রকল্পে ২ লক্ষ ৩৪ হাজার মেয়ে রূপশ্রী প্রকল্পের আওতায় এসেছেন। এঁদের অর্থ সাহায্য করতে খরচ হয়েছে ৭৯৫ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার বেশি। ইতিমধ্যে ১০ লক্ষ ৩৮ হাজার মেয়ে আবেদন খতিয়ে দেখার পর প্রকল্পের টাকা হাতে পেয়ে গেছেন। বাকি প্রাপকদেরও শীঘ্রই প্রাপ্য টাকা দিয়ে দেওয়া হবে বলে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতি এবং কলকাতা পুরভোটের সময়ও কমিশনের নির্দেশ মেনে রূপশ্রী প্রকল্প চলেছে। মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। এই প্রকল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য।”