’পদ্মভূষণ’-এ ভূষিত হলেন পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী (Pandit Ajay Chakraborty)। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় মঙ্গলবার তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনে যেতে পারেননি।
দ্বিতীয়বার দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক পদ্ম-সম্মানে ভূষিত হন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী (Pandit Ajay Chakraborty)। ২০২০-র ২৫ জানুয়ারি এই ঘোষণা করা হয়। ‘২০-র মার্চ মাসে পুরস্কার বিতরণ হওয়ার কথা ছিল। তার ঠিক দু’দিন আগে লকডাউন ঘোষণা হয়ে যায়। ‘২০২১-এ যাঁরা পদ্মশ্রী পান, তাঁদের মধ্যে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ জন। ’২০ ও ’২১— এই দু’বছরের সবাইকে গত ৮ ও ৯ নভেম্বর নয়াদিল্লির দরবার হলে পরিকল্পিত উপায়ে স্বীকৃতি জানানো হয়েছিল। অজয়বাবু সেই অনুষ্ঠানে যেতে পারেন নি।
এরপরই প্রাপকের হাতে পদক তুলে দিতে কেন্দ্রের তরফে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যকে। মঙ্গলবার ‘পদ্মভূষণ’ সম্মান অজয়বাবুর হাতে তুলে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বি. পি. গোপালিকা। তাঁরা ফুল, মিষ্টি ও শাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে উপহার হিসাবে তুলে দেন শিল্পীর হাতে।
আরও পড়ুন – প্রয়াত নারায়ণ দেবনাথ, বাংলার কার্টুন সম্রাটকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রদ্ধার্ঘ্য
উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের ছেলে মুনাওয়ার আলি খান সাহেবের কাছে পাটিয়ালা ঘরানায় দীক্ষিত অজয় চক্রবর্তীর হাতেখড়ি হয়েছিল বাবা অজিতকুমার চক্রবর্তীর কাছে। তিনিই তাঁর প্রথম সঙ্গীত গুরু। এর পর পান্নালাল সামন্ত ও কানাইদাস বৈরাগীর কাছে প্রশিক্ষণ নেন। পরবর্তীকালে পদ্মভূষণপ্রাপ্ত পণ্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের কাছেও দীক্ষিত হয়েছেন। ১৯৯৩ সালে তাঁর গুরু পণ্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের অনুপ্রেরণায় ‘শ্রুতিনন্দন’ নামে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের স্কুল তৈরি করেন।
২০১১ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী দেওয়া হয়েছিল। এরপর পান পদ্মভূষণ। ২০২০-র ২৫ জানুয়ারি প্রাক প্রজাতন্ত্র দিবসের সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মোট ১৪১ জন ‘পদ্ম’ প্রাপকের নাম ঘোষণা করে। পদ্মভূষণের তালিকায় নাম ছিল পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর। ২০০০ সালে তিনি সঙ্গীত নাটক অকাদেমি পুরস্কারও পেয়েছিলেন। অভিভূত শিল্পী জানিয়েছেন, যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগী হয়ে এই সম্মান তার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তাতে তিনি কৃতজ্ঞ।