বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার : ময়নাগুড়ি রেল দুর্ঘটনার (Moinaguri Train Accident) প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে রেলের গাফিলতি ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়েছে। পুরোনো ইঞ্জিনের ত্রুটিতেই ঘটেছে ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনা। এর পরই নড়েচড়ে বসে উত্তর-পূর্ব রেল। সিদ্ধান্ত নেয় পুরোনো কামরা বদলের। তাই ময়নাগুড়ির দোমহনির দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে তড়িঘড়ি আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে দিল্লিগামী সিকিম-মহানন্দা এক্সপ্রেসে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এলএইচবি কোচ চালু করল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল।দীর্ঘদিন ধরে ওই দূরপাল্লার গুরুত্বপূর্ণ দৈনিক ট্রেনটি পুরোনো আমলের আইসিএফ রেক নিয়েই চলাচল করত।
আরও পড়ুন – উদ্যোগী মমতা – শুরু কালীঘাট স্কাইওয়াক তৈরির কাজ
এরপর ময়নাগুড়ি দুর্ঘটনার (Moinaguri Train Accident) পর যাত্রী-সুরক্ষার প্রশ্নে ট্রেনটিতে এলএইচবি কোচ চালু করার দাবি উঠেছিল বিভিন্ন মহল থেকে। কিন্তু শুধু কামরা পরিবর্তন করলেই কি মিটবে সমস্যা? প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। পুরোনো ইঞ্জিনগুলোর কী পরিণতি হবে? আর রেলের সর্বোচ্চ মহলে যাঁরা এই সমস্ত কোচ ও ইঞ্জিন এখন চালিয়ে যাবার ছাড়পত্র দিচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। আর কতদিন বলির পাঁঠা করা হবে উপরমহলের নির্দেশে একপ্রকার বাধ্য হয়ে ট্রেন চালানো চালক, গার্ড, কন্ট্রোলার, স্টেশন মাস্টারদের। এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে জীবন হাতে নিয়ে রেল সফরকারী মানুষের মধ্যে। বৃহস্পতিবার সকালে নতুন রেকের সূচনা হয়।