প্রতিবেদন : কোভিড-পরিস্থিতিতেও থেমে নেই কুমোরটুলি (Kumartuli)। সামনেই সরস্বতী পুজো। কলকাতা মহানগরীতে তো বটেই, আশপাশের জেলা শহরগুলিতেও কুমোরটুলির শিল্পীদের সৃজনশীলতার ব্যাপক কদর। তাই পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে— এই আশায় বুক বেঁধেই প্রতিমা গড়ার কাজে ডুবে আছেন এখানকার শিল্পীরা। তবে বাস্তব পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রতিমার সংখ্যা ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কম রাখছেন শিল্পীরা। যদিও শেষ মুহূর্তের চাহিদা সামাল দিতেও মানসিকভাবে প্রস্তুত তাঁরা।
আসলে সরস্বতী প্রতিমার আগাম বায়নার আজকাল আর তেমন একটা চল নেই কলকাতার এই প্রাচীনতম মৃৎশিল্পকেন্দ্রে। কিছু বড় এবং থিমপুজোর উদ্যোক্তারা অবশ্য এখনও অগ্রিম বরাত দিয়ে রাখেন। কিন্তু সাধারণভাবে ছোট, মাঝারি, বড়, নানারকমের প্রতিমা তৈরি করে সাজিয়ে রাখেন শিল্পীরা। সেখানেই পছন্দমতো প্রতিমা দরদাম করে নিয়ে যান ক্রেতারা। তবে এখন শহরে, মফস্বলে পাড়ায় পাড়ায় অনেকেই সরস্বতী প্রতিমার তৈরি করায় বিকেন্দ্রীকরণের একটা প্রবণতা এসেছে। স্কুল-কলেজে, বাড়িতে প্রতিমা পৌঁছে যাচ্ছে সেখান থেকেই। তথ্যের দাবি, কুমোরটুলির (Kumartuli) প্রায় ১০০ গোলায় তৈরি হয় সরস্বতী প্রতিমা। ব্যস্ততা প্রায় সর্বত্র। তবুও কোভিড-ত্রাসে স্কুল-কলেজে পুজোর অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় প্রতিমার সংখ্যা কমিয়ে এনেছেন মালা পালের মতো অনেক শিল্পী।
মালা বললেন, ‘‘অন্যান্যবার প্রায় ১০০ প্রতিমা তৈরি করি। এবারে ঝুঁকি নিইনি। ২৫টি কম প্রতিমা গড়ছি।’’ শিল্পী বঙ্কিম পালের কথায়, ‘‘বিক্রি হবে না ভেবে ২০ শতাংশ প্রতিমা কম গড়েছি। ”