সংবাদদাতা, হাওড়া : প্রথম পক্ষের সন্তানকে মেনে নিতে পারেনি সৎ বাবা। আর তাই ৪ বছরের শিশুসন্তানকে খুন (Howrah Children Murder Case) করে নির্মীয়মাণ বহুতলের আন্ডারগ্রাউন্ডের রিজার্ভারে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল সৎ বাবার বিরুদ্ধে। সিসিটিভির ফুটেজের সূত্র ধরে অভিযুক্ত সৎ বাবাকে বুধবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ডোমজুড়ের বাঁকড়া এলাকায়। মৃত শিশুটির নাম শেখ সাহিল।
পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম উমেশ দ্বিবেদী। বিহারের (Bihar) বাসিন্দা উমেশের সঙ্গে সাহিলের মায়ের বছর দুয়েক আগে মুম্বইয়ে পরিচয় হয়। বাঁকড়ায় বাড়ি হলেও কাজের জন্য মুম্বইয়ে থাকতেন সাহিলের মা। কিছুদিন আগে তিনি সাহিলকে নিয়ে বাঁকড়ায় চলে আসেন। এরপর প্রথম পক্ষের স্বামীর সঙ্গে তাঁর ডিভোর্স হয়ে যাওয়ায় কয়েকমাস আগে উমেশের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বাঁকড়ায় তাঁরা একটি ঘরভাড়া নিয়ে থাকতেন। কিন্তু সাহিলকে নিয়ে তাঁদের মধ্যে তুমুল অশান্তি বাধে। সম্প্রতি দিল্লিতে কাজ নিয়ে চলে যান সাহিলের মা। বাঁকড়ায় দিদার কাছে থাকত সাহিল। রবিবার সেখান থেকে সাহিলকে ডেকে নিয়ে বের হয় উমেশ। তারপর সাহিল নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার গল্প ফেঁদে পুলিশে ডায়েরি করে।
আরও পড়ুন-হস্টেল বন্ধ, পঠন-পাঠন শুরু বিশ্বভারতীতে
মঙ্গলবার টিকিয়াপাড়ায় একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের আন্ডারগ্রাউন্ড রিজার্ভার থেকে দেহ উদ্ধার হয়। এরপরই ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভির ফুটেজে সাহিলকে শেষ উমেশের সঙ্গে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা যায়। এরপরই পুলিশ এদিন উমেশকে গ্রেফতার করে জেরা করতেই সে খুনের (Howrah Children Murder Case) কথা স্বীকার করে নেয়। প্রথম পক্ষের সন্তানকে মানতে না পেরেই সে সাহিলকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর বহুতলের ওই আন্ডারগ্রাউন্ড রিজার্ভারে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে ধৃত উমেশ। তাকে জেরা করে এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।