প্রতিবেদন : করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন (Omicron) প্রথম থেকেই বিশেষজ্ঞদের উদ্বিগ্ন করেছিল। কারণ ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছিল ঝড়ের গতিতে। কিন্তু এবার ওমিক্রনের (Omicron) সাম্প্রতিকতম রূপটি বিজ্ঞানীদের নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে। ওমিক্রনের নতুন রূপটির সংক্রমণ ক্ষমতা প্রথমটির থেকেও অনেক বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, বিশ্বের কমপক্ষে ৫৭টি দেশে ইতিমধ্যেই ওমিক্রনের নতুন প্রজাতিটি ছড়িয়ে পড়েছে।
মাত্র আড়াই মাস আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় (South Africa) ওমিক্রনের প্রথম সন্ধান মিলেছিল। কিন্তু ওই নতুন ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঝড়ের গতিতে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ওমিক্রনের দাপটে কার্যত হারিয়ে গিয়েছে ডেল্টা। এরই মধ্যে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা জানালেন, ওমিক্রনের দ্বিতীয় জেনারেশনের ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে পরিচিত বিএ-২-এর সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা প্রথমটির চেয়েও অনেক বেশি।
আরও পড়ুন-ইউক্রেনে যুদ্ধ চায় আমেরিকা, সরব ভ্লাদিমির পুতিন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) পক্ষ থেকেও এই বিষয়টি স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হু জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই কমপক্ষে ৫৭টি দেশে নতুন প্রজাতি বিএ-২ ছড়িয়ে পড়েছে। ক্রমশ আরও বহু দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়বে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কেউ যদি উপসর্গ-সহ ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলেও যে তিনি বিএ-২-র হাত থেকে রক্ষা পাবেন তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। কারণ ওমিক্রন আক্রান্ত হলে শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমাণ কমে যায়। স্বাভাবিকভাবেই ওমিক্রন আক্রান্ত হওয়ার পরও যে কোনও ব্যক্তি নতুন প্রজাতি বিএ-২ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার একদল গবেষক তাঁদের পরীক্ষায় দেখেছেন, বিএ-২ ওমিক্রনের প্রাথমিক রূপটির চেয়েও অনেক বেশি সংক্রামক। হু জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সংক্রমণ ক্ষমতার তীব্রতা ছাড়া বিএ-২ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। বিএ-২ কতটা প্রাণঘাতী সে বিষয়ে এখনও গবেষক ও বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত ভাবে কিছু বলতে পারেননি। সিদ্ধান্তে আসতে সময় লাগবে। তবে এই সমস্ত ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে করোনাজনিত বিধিনিষেধ মেনে চলাই একমাত্র উপায়।