সমীরণ দাস, রিষড়া, হুগলি: নাগরিকের করের টাকায় কর্পোরেট সেবার বাজেট। উপরের দিকের ৩০ কোটি নাগরিকের বাজারকে তুষ্ট করাই এই বাজেটের এক ও একমাত্র লক্ষ্য। গরিব এবং কৃষক শ্রেণির কল্যাণের কোনও রূপরেখা এই বাজেটে নেই। এমনকী, বিপুল করপ্রদায়ী মধ্যবিত্ত শ্রেণিকেও উপেক্ষা করেছে মোদি সরকারের ২০২২-২৩ সালের সাধারণ বাজেট। সাতবছর আগে প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছিলেন যে কৃষকদের আয় পাঁচবছরে দ্বিগুণ হবে। কোভিডকালে কৃষির বৃদ্ধি অক্ষুণ্ণ থাকার পরেও কৃষিজীবীদের অবস্থার কোনও ইতিবাচক বদল আদৌ হয়েছে কি?
আরও পড়ুন-শচীনকে ছোঁয়ার সুযোগ বিরাটের
বাস্তবটা জানাতে হবে প্রধানমন্ত্রীকেই। অথচ সামগ্রিক বাজেটে কৃষির গুরুত্ব বৃদ্ধির পরিবর্তে হ্রাস পেয়েছে। গতবছরের বাজেটে কৃষির জন্য বরাদ্দ ছিল ৪.৩ শতাংশ, সেটা এবার হয়েছে ৩.৮ শতাংশ। এটাই বাস্তব যে আবেগসর্বস্ব কিছু কথা তাৎক্ষণিকভাবে মহাপুরুষের বাণীর মতোই শোনায় বটে, কিন্তু তাতে নাগরিকের পেট ভরে না। বাজেটে কৃষির উপর সামগ্রিক বরাদ্দ হ্রাসেই প্রমাণ হয় যে, এই সরকারের মন আর মুখ ভিন্ন। সেটা যে এত দ্রুত ধরা পড়ে যাবে, মোদিজি হয়তো ভাবেননি।
আরও পড়ুন-ফের মোদি সরকার ব্যাঙ্ক বেসরকারীকরণের পথে
তাই সব কাজ ফেলে তাঁকেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে মনোনিবেশ করতে হয়েছে। নির্মলা সীতারামনের বাজেটের পিঠ চাপড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দাবি করতে হচ্ছে, এ গরিবের বাজেট। এই বাজেট সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করবে। বিশেষভাবে উপকৃত হবেন নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত এবং যুব শ্রেণি। এই বাজেট এক আধুনিক ভারতের জন্ম দেবে… ইত্যাদি। প্রধানমন্ত্রীর কথা ইদানীং আর কেউ সিরিয়াসলি নেয় না। তিনি যা-খুশি বলতেই অভ্যস্ত। মিথ্যাচার তাঁর রাজনৈতিক কালচার।