রিতিশা সরকার, দার্জিলিং : হন্যে হয়ে খুঁজেও প্রার্থী পাচ্ছে না বিজেপি। তাই পুরনো কায়দাতেই জিএনএলএফের শরণাপন্ন হয়ে জোট করে প্রার্থী দিতে চলেছে তারা। আজ বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করতে পারেনি পদ্ম শিবির। পদ্মের পতনের যে ঘণ্টা বেজে গিয়েছে এর ফলে তা আর বোঝার অপেক্ষা রইল না।
আরও পড়ুন – লখনউতে গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর স্লোগান “খেলা হবে”, উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপি হটানোর ডাক মমতার
নিজেদের ব্যর্থতাতেই পাহাড়ে ঘর গোছাতে পারেনি বিজেপি। তাদের একের পর এক কাজেই তার প্রমাণ মিলেছে। মানুষকে বোকা বানিয়ে ভোট নিয়ে পাহাড়ের উন্নয়নেও খুঁজে পাওয়া যায়নি বিজেপি সাংসদকে। ক্ষুব্ধ পাহাড়বাসী বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে করেছেন মিসিং ডায়েরি। জনসমর্থন খুইয়ে বিজেপি যখন দিশাহারা, তখনই উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করে আজ বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন দার্জিলিংয়ের তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) ১০ প্রার্থী। অন্যদিকে, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বিমল গুরুং দার্জিলিং পুর নির্বাচনে ৩২টি আসনের মধ্যে ২২টি আসনে প্রার্থী দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে দিয়েছেন তাঁরা। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ২২ প্রার্থীও মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন আজ বুধবার।
দার্জিলিং পুরভোটের দায়িত্বে রয়েছেন গৌতম দেব। শিলিগুড়ির পুর নির্বাচন শেষ করেই তিনি দার্জিলিংয়ের উদ্দেশে রওনা দেবেন। তার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ প্রার্থী জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন। এই বিষয়ে পাহাড়ের তৃণমূল নেতা তথা ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রার্থী মিলন দুপকা বলেন, আমরা ১০ প্রার্থী একসঙ্গে মনোনয়ন জমা দেব। যেহেতু প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে তাই আমরা প্রচারে নেমে পড়েছি। তবে বিজেপির পরিস্থিতি খুব খারাপ, তারা প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। তাই পাহাড়ের মাটিতে পাহাড়ের উন্নয়নে শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই থাকবে। তবে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত ১০ আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়ী হলে বোর্ড গঠন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দল।