বন্যা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশে। রাজ্যের ২১টি জেলার অন্তত ৩৫৭ টি গ্রাম ভেসে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি চলছে সেখানে আর তার জেরেই এই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: আজ ঘাটালে দুর্গতদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী
সব থেকে খারাপ পরিস্থিতি হামিরপুর ও জালুন জেলার। জানা গিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি আজ সোমবার আকাশ পথে দেখবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
সাধারণত বুন্ডেলখণ্ডে কম বৃষ্টি হয়। এবারে সেখানকার অবস্থাও খারাপ, কারণ সেখানে যমুনা নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের গোন্ডা জেলায় ভেসে গিয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানেও ফুঁসছে ঘঘরা নদী।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর বাদাউন, গাজীপুর ও বালিয়া জেলার পাশ দিয়ে যাওয়া গঙ্গাও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। বন্যার জেরে ৯৭টি গ্রামের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রয়াগরাজের অবস্থাও খারাপ। এখানে গঙ্গা-যমুনা দুই নদীই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। উদ্ধারের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফের দল। দশাশ্বমেধ ঘাট এবং আদি গণেশ মন্দিরের প্রথম তলা পুরোপুরি বন্যার জলে তলিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যের জলশক্তি ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রী মহেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, ‘গঙ্গা বিপদসীমার দুই মিটার উপর দিয়ে বইছে। তাছাড়া রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ প্রচুর পরিমাণে জল ছেড়েছে। এর জেরে ৫০ টি গ্রাম জলে ভেসে গিয়েছে।’
আরও পড়ুন: পুলিশি তৎপরতায় মহিলা গ্যাং গ্রেফতার শিলিগুড়িতে
ঘটনা হল পয়লা জুন বর্ষা আগমনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৯৬ শতাংশ বৃষ্টি হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, এখনও চার শতাংশ কম বৃষ্টি কম হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। আরও খতিয়ে দেখলে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ জেলাতে স্বাভাবিক বৃষ্টিই হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কীভাবে এই এমন বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হল?