সৌম্য সিংহ : মাঝে আর মাত্র দু’টো দিন। প্রচারের বেলাও শেষ হয়ে এল প্রায়। শেষ পর্যায়ে বিধাননগরে জনসম্পর্ক অভিযানে ঝড় তুললেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। বাসিন্দাদের সঙ্গে তাঁদের মেলামেশার ধরন এবং কথাবার্তায় আন্তরিকতাই বুঝিয়ে দিল, লড়াইয়ের ময়দানে তৃণমূল কংগ্রেসের ধারেকাছেই নেই অন্য কোনও দল। বুধবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সভা এবং মিছিল করলেন সল্টলেকের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুজিত বসু এবং রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-অবিশ্বাস্য! পাহাড়ের খাঁজে দু’দিন আটকে জওয়ানদের চেষ্টায় উদ্ধার বাবু
সুজিত বসু সভা করলেন সুকান্তনগর, ত্রিনাথপল্লি, কেবি গ্রাউন্ড এবং পোলেনাইট ফুটবল গ্রাউন্ডে। তাপস চট্টোপাধ্যায় দলের প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করলেন ২, ৩ এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে। মিছিলে নেতৃত্ব দিলেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। বিধানগর পুরভোটে কার্যত অপ্রতিদ্বন্দ্বী ঘাসফুল প্রতীক। ডোর-টু-ডোর ক্যাম্পেন বলতে যা বোঝায় তা ২/৩ বার সেরে ফেলেছেন প্রার্থীরা। শেষ পর্যায়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বেড়িয়ে শিল্পীদের মতোই প্রার্থীরা দিচ্ছেন শেষ তুলির টান। কেউ হেঁটে, কেউ হুডখোলা জিপে চেপে। ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী তুলসী সিংহরায়কে দেখা গেল বুধবার সকাল থেকে জিপে চড়ে চষে ফেলছেন গোটা এলাকা।
আরও পড়ুন-ট্যাবলেটেই করোনার টিকা মিলবে এবার
৪১ নম্বরের প্রার্থী রত্না ভৌমিক কোভিড বিধি মেনে ঘুরছেন ছোট আকারের মিছিল নিয়ে। এরই মধ্যে ব্লকে ব্লকে প্রবীণ নাগরিক এবং বিশেষভাবে সক্ষম বাসিন্দাদের তালিকাও তৈরি করছেন তাঁরা। ভোট দিতে যাওয়ার জন্য হুইল চেয়ার এবং গাড়ির ব্যবস্থাও হচ্ছে নির্বাচনী বিধি মেনে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গেল, নাগরিকদের হাতে ভোটার স্লিপ তুলে দেওয়ার সময় বলছেন, ‘‘আপনাদের কোনও প্রশ্ন থাকলে খোলাখুলি জানাতে পারেন। আমি সাধ্যমতো উত্তর দেব।’’ ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবাগতা প্রার্থী আরাত্রিকা ভট্টাচার্যকেও দেখা গেল ভোটারদের সঙ্গে স্বচ্ছন্দ আলাপচারিতায়।