প্রতিবেদন : নিরাপত্তাজনিত কারণে ফের ৫৪টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্রীয় সরকার। নিষিদ্ধ হওয়া অ্যাপগুলির তালিকায় রয়েছে গ্যারেনা ফ্রি ফায়ার গেমের মতো জনপ্রিয় অ্যাপও। যদিও এই অ্যাপটি সিঙ্গাপুরের। কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতেই এই দফায় বেশকিছু অ্যাপ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত।
দু’বছর আগে কেন্দ্র পাবজি নিষিদ্ধ করার পর ফ্রি ফায়ার ছিল ডিজিটাল গেম প্রিয় ছেলেমেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ। ২০২১ সালে দেশে সবথেকে বেশি এই অ্যাপটি ডাউনলোড করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন-রাশিয়া হামলা চালালে ইউক্রেনে সাহায্য আমেরিকার, জেলেনস্কিকে আশ্বাস বাইডেনের
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তার নির্দেশে ৫৪টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে। ইতিমধ্যেই এই নির্দেশিকা বৈদ্যুতিন এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রককে পাঠানো হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯ (এ) অনুচ্ছেদের জরুরি বিধান ধারায় এই অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেন্দ্রের বক্তব্য হল, এই অ্যাপগুলি অন্য কোনও অ্যাপের ক্লোন ভার্সন। তাই অন্য অ্যাপের সঙ্গে এই অ্যাপগুলির হুবহু মিল রয়েছে। সর্বোপরি এই অ্যাপগুলি ফোনে রাখলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি দেশের সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করছে।
সাধারণ মানুষের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই ৫৪টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার কেন্দ্র যে সমস্ত অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করেছে তার মধ্যে আছে ভিভা ভিডিও এডিটর, সুইট সেলফি এইচডি, অ্যাশেস অফ টাইম লাইট, বিউটি ক্যামেরা, ইকুয়ালাইজার, বাস বুস্টার, আইসোল্যান্ড ২, অ্যাশেস অফ টাইম লাইট, টেনসেন্ট এক্সরিভার, অনমিওজি চেস, অনমিওজি অ্যারেনা, অ্যাপলক, ডুয়েল স্পেস লাইটের মতো অ্যাপ। কেন্দ্রের বক্তব্য, এই অ্যাপগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি হয় দূষিত সফ্টওয়্যার চালায় বা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই সরাসরি চিনভিত্তিক ডেটা সেন্টারে ব্যবহারকারীর তথ্য পাঠায়।
আরও পড়ুন-সফল ইসরো
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৫ জুন লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চিনের সেনাদের সংঘর্ষের পর ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছিল মোদি সরকার। তবে সেখানেই শেষ নয়। তারপর ২০২০-র অগাস্টে ৪৭টি, সেপ্টেম্বরে ১১৮টি, এবং নভেম্বরে আরও ১৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।