সংবাদদাতা আসানসোল : সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করার সমস্ত রকম প্রচেষ্টার পরও প্রায় শূন্য হাতেই ফিরতে হল বিজেপিকে। শনিবার আসানসোল পুরনির্বাচনের ভোট চলাকালীন জামুড়িয়ায় দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরির সবরকম চেষ্টা করে বিজেপি। এমনকী এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে স্থানীয় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়ে। ফাটানো হয় বেশ কয়েকটি বোমাও। তবে পুলিশি তৎপরতায় উত্তেজনা দ্রুত প্রশমিত হয়।
আরও পড়ুন-ভিত মজবুত তৃণমূলের
এই গোটা ঘটনার দায় বিজেপির পেটোয়া কয়েকটি সংবাদমাধ্যম তৃণমূলের উপর চাপিয়ে দিয়ে কুৎসার কালি ছেটানোর প্রবল চেষ্টা করে। বিজেপি যে প্রথম থেকেই ঝাড়খণ্ড ও বিহার থেকে সশস্ত্র ভাড়াটে গুন্ডাদের নিয়ে এসে ভোট ভন্ডুল করার মরীয়া চেষ্টা চালাবে, পুলিশের কাছে এমনই আগাম খবর থাকায় গেরুয়া শিবিরের সমস্ত চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেওয়া সম্ভব হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের এই ভূমিকার প্রশংসাও করেন। সোমবার নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় আসানসোল পুরনিগম এলাকার বাসিন্দারা বিরোধীদের সমস্ত চক্রান্তের উপযুক্ত জবাব দিয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-পরিধি বেড়ে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ
নির্বাচনের অন্যতম মেন্টর এবং রাজ্যের আইন ও পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, বিজেপির পেটোয়া একশ্রেণির মিডিয়া এবং বিরোধীদের একাংশ নির্বাচন চলাকালীন সময় থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানান কুৎসা ও অপপ্রচার শুরু করেছিল। ১০৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে শাসকদল পেয়েছে ৯১টি আসন।