পরিধি বেড়ে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ

উল্লেখ্য, বামেরা এ রাজ্যে ক্ষমতায় থাকতেই ২০১০ সালে আসানসোল পুরনিগমে বিপুল জয় নিয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস।

Must read

সংবাদদাতা আসানসোল : আসানসোল পুরনিগমের নীল বাড়িটায় আবারও চালকের আসনে তৃণমূল কংগ্রেস। ১০৬ আসন বিশিষ্ট এই পুরনিগমে ৯১টিতে জয় পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল রাজ্যের শাসক দল। এবং তার সঙ্গেই আরও একবার উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে ঝাঁপানোর শপথ নিলেন এই পুরনিগমের জয়ী তৃণমূল প্রার্থীরা। সাবেক আসানসোল পুরনিগম ছিল ৫০টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট। তখন শুধুমাত্র আসানসোল শহরকে নিয়েই ছিল এই পুরনিগমের পরিধি।

আরও পড়ুন-ইডেনে দর্শক চেয়ে ফের বার্তা বোর্ডকে

২০১১ সালে তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর এই পুরনিগমকে ঘিরে নতুন করে সীমানা বিন্যাসের ভাবনা চিন্তা শুরু হয়। পূর্বতন বর্ধমান জেলাকে ভাগ করে পৃথক পশ্চিম বর্ধমান জেলার জন্ম হওয়ার পর রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া ও কুলটি এই তিন পুরসভাকে আসানসোল পুরনিগমের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এবং রাজ্যের মধ্যে আয়তনের দিক থেকে সর্ববৃহৎ হিসেবে গড়ে তোলা হয় রাজ্যের অন্যতম প্রাচীন এই পুরনিগমটিকে। কুলটি, আসানসোল উত্তর, আসানসোল দক্ষিণ, রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়া এই পাঁচটি বিধানসভা এলাকার সিংহভাগ এলাকাকে এই মেগা কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত করা হয়। মেগা কর্পোরেশন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পরই এই পুরনিগমের কর্মের পরিধি ও দায়িত্বও বেড়ে যায় বহুগুণ।

আরও পড়ুন-উত্তরের রায়

উল্লেখ্য, বামেরা এ রাজ্যে ক্ষমতায় থাকতেই ২০১০ সালে আসানসোল পুরনিগমে বিপুল জয় নিয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল পরিচালিত প্রথম পুরবোর্ডে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রবীণ নেতা তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বস্তুত তাপসবাবুর সময় থেকেই এই খনি শিল্পাঞ্চলে উন্নয়নের শুরু।

Latest article