উত্তরের রায়

উত্তরবঙ্গের অন্যতম মোস্ট ডিপেন্ডেবল পারফর্মার, দক্ষ ও সফল প্রশাসক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবকে ইতিমধ্যেই প্রত্যাশা মতো নেওয়ার মেয়র ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Must read

সুপ্রিয় চন্দ: প্রায় ৪০ বছর পর মা-মাটি-মানুষের আশীর্বাদে একক ক্ষমতায় শিলিগুড়ি পৌরবোর্ড দখল করলো তৃণমূল কংগ্রেস। কুখ্যাত শিলিগুড়ি মডেলকে বাতিল করে জিতলো টিম শিলিগুড়ি। বিগত সময়ের প্রেক্ষিতে নিশ্চিতভাবে এই জয় তাৎপর্যপূর্ণ। মোট প্রাপ্ত ভোটের প্রায় 49% এর কাছাকাছি ভোট পেয়েছে তৃণমূল। দীর্ঘদিনের বর্ষীয়ান রাজনীতিক, উত্তরবঙ্গের অন্যতম মোস্ট ডিপেন্ডেবল পারফর্মার, দক্ষ ও সফল প্রশাসক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবকে ইতিমধ্যেই প্রত্যাশা মতো নেওয়ার মেয়র ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-শিবিরে হামলা

কার্যতঃ বাম দুর্গ বলে পরিচিত উত্তর পূর্ব ভারতের এই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহরে বাম-বিজেপির অবস্থা শোচনীয়। হাতে চে গুয়েভারার ট্যাটু আঁকা প্রাক্তন বাম অধুনা বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ নির্বাচনে ওয়ার্ডে চতুর্থ হয়েছেন। স্বঘোষিত জননেতা অশোক ভট্টাচার্য বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয় ও পৌরসভা নির্বাচনে কোনোক্রমে মুখ রক্ষা করেও জয়ের হাসি হাসতে পারেন নি। ওয়ার্ড সংখ্যালঘু ফ্যাক্টার বলে বরং শেষ জীবনে দলীয় মতাদর্শের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন অশোক বাবু। ওনার স্মরণে রাখা প্রয়োজন, শিলিগুড়ির মোট ভোটার সংখ্যার ৯২ শতাংশ হিন্দু, যার মধ্যে কুড়ি শতাংশ ভোটও বিজেপি পায়নি। কার্যত বাম-বিজেপির অপদার্থতা অকর্মন্যতার বিরুদ্ধে এই রায় মানুষের স্পষ্ট জনাদেশ।

আরও পড়ুন-বরিসের বৈঠক

ক্ষমতায় আসার পর থেকে উত্তরবঙ্গের জন্য মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে কাজ করে গিয়েছেন, নিরলস ও ধারাবাহিক সেই কাজে ট্র্যাক রেকর্ড এর কাছেই কুৎসার যাবতীয় টেপ রেকর্ড পরাস্ত হয়েছে। উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক ভরকেন্দ্র হিসেবে উত্তরকন্যা তৈরি, আলিপুরদুয়ারকে পৃথক জেলার স্বীকৃতি, ডুয়ার্স কন্যা তৈরি, জলপাইগুড়িতে মেডিকেল কলেজ তৈরি, চা বাগান শ্রমিকদের জন্য চা সুন্দরী প্রকল্প, নৌকাঘাট ফ্লাইওভার নির্মাণ, বেঙ্গল সাফারি পার্ক নির্মাণ সহ সামাজিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রভূত পরিকাঠামো উন্নয়ন করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

আরও পড়ুন-ধর্মান্তরকরণের জেরে আত্মঘাতী নাবালিকা? সিবিআই তদন্তের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

পাশাপাশি বিজেপির লাগাতার ভাঁওতা সর্বস্ব রাজনীতি এবং উত্তরের প্রায় সব জেলায় সাংসদ ও কিছু বিধায়ক জেতার পরেও ক্রমাগত মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার রাজনীতি বিজেপিকে জনবিচ্ছিন্ন আবর্জনায় পরিণত করেছে। উত্তরবঙ্গের একজন মানুষ হিসেবে, দলের একজন কর্মী হিসেবে ও সর্বোপরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন সৈনিক হিসেবে দিদির কাছে প্রার্থনা আগামীতে উন্নয়নের বর্শা ফলক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ও প্রতিভাত হোক উত্তরবঙ্গ। জয় হোক মানুষের।

Latest article