সংবাদদাতা, নৈহাটি : তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতিকে লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি, তারপর বোমা মেরে হামলা দুষ্কৃতীদের। কিন্ত কপালজোরে প্রাণে বাঁচলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রানা দাশগুপ্ত। বুধবার রাতে নৈহাটি বিধানসভার শিবদাসপুর এলাকার ঘটনা। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা ভেবে তাঁরা অবরোধ তুলে নেন। রাতে ঘটনাস্থলে যান বীজপুর থানার আধিকারিক জয়প্রকাশ পাণ্ডে, বারাকপুর কমিশনারেটের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার তুষারকান্তি পাঠক-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন-কর্মসংস্থানই তৃণমূলের প্রচারের ইস্যু গুসকরায়
হামলাকারীদের খোঁজ শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত দশটা নাগাদ নৈহাটি বিধানসভার ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রানা দাশগুপ্তর গাড়ি লক্ষ্য করে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা প্রথমে বোমা ছোড়ে। তারপর গুলিও চালায়। নৈহাটির শিবদাসপুর গ্রামপঞ্চায়েত পেপার মিলের সামনে এই ঘটনা ঘটে। রানা দাশগুপ্ত জানান, ওখান দিয়ে যাওয়ার পথে তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গাড়ি থেকে নামেন। ঠিক তখনই দুই দুষ্কৃতী মাথায় হেলমেট পরে বাইক চড়ে এসে তাঁর গাড়ির উপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন-বন্ধ জুটমিল খুলতে মন্ত্রীর জরুরি বৈঠক
প্রথমে গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। বোমা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গাড়ির পিছনে পড়ে। বোমার শব্দে তিনি ছুটে এসে গাড়িতে উঠে পড়েন। তখন গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে তাঁর অভিযোগ। গুলি লক্ষভ্রষ্ট হয়ে গাড়ির কাচ ফুটো করে বেরিয়ে যায়। পরে তাঁর গাড়ি সামনে ফের আরও একটি বোমা মারে আততায়ীরা। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বীজপুর থানার পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমদম-বারাকপুর মহিলা সাংগঠনিক সভাপতি সোনালি সিংহরায়-সহ অন্য স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা।