সংবাদদাতা, মালদহ : পেশায় তিনি শিক্ষক। চাঁচল সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে শিক্ষকতা করেন। ২০১৭ সালে রাজনীতিতে হাতেখড়ি। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে চাঁচল এলাকা থেকে মালদহ (Malda) জেলা পরিষদে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেন। দল এটিএম রফিকুলকে কৃষি কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছে। এবার রাজ্য নেতৃত্ব তাঁর নাম মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসেবে ঘোষণা করেছে। আগামী ২৩ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে বসতে চলেছে সভাধিপতি নির্বাচনের বৈঠক। সেই বৈঠকের পর তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। তার আগেই তিনি হোমওয়ার্ক শুরু করে দিয়েছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি কর্মসংস্থানে জোর দিতে চান। রাজ্য সরকারের কর্মমুখী প্রকল্পগুলি দ্রুত বাস্তবায়ন করে খুলতে চান কর্মসংস্থানের দুয়ার। মেটাতে চান ভাঙন-সমস্যা। জেলার মানুষদের ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া রুখতে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরি করার পরিকল্পনা তিনি গ্রহণ করেছেন। তিনি আরও বলেন, আম-রেশমের জেলা হিসেবে জগৎ-বিখ্যাত মালদহ। আম ও রেশম শিল্পের শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শিল্প হলে সেখানে প্রচুর যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হবে। এ-ছাড়াও রাজ্য সরকারের যে-সমস্ত জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলো রয়েছে তার পরিষেবা যেন সাধারণ মানুষ পান সে-দিকেও বিশেষ জোর দেওয়া হবে। মালদহ (Malda) জেলা পরিষদের সভাধিপতির আসনে এই প্রথম চাঁচল থেকে কেউ প্রতিনিধিপদে বসতে চলেছেন। এখনও চলছে সংবর্ধনার হিড়িক।