প্রতিবেদন : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নতুন প্রাণ পেল দেশপ্রিয় পার্কে। গান, কবিতা, শহিদদের স্মরণে চোখের সামনে ভেসে উঠল ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলনের সেই দিন। সাদা ফুলের মালায় সেজে ওঠে ভাষা দিবসের মঞ্চ। এক অন্য ঐক্য দেখা গেল ভাষাদিবসের অনুষ্ঠানে। শুধু বাংলা নয়— হিন্দি, উর্দু, অলচিকি-সহ নানান ভাষার মিলনক্ষেত্র হয়ে ওঠে এদিনের মঞ্চ। শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে শিল্পী যোগেন চৌধুরির তৈরি মূর্তিতে মাল্যদান করেন উপস্থিত সকলেই। গর্বের অনুষ্ঠানে বন্দে মাতরমের সুরে হারিয়ে গেলেন শ্রোতারা। ভাষাদিবস নিয়ে লেখা স্বরচিত কবিতা পাঠ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-কার্লসেনকে হারিয়ে চমক প্রজ্ঞানন্দের
প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের লেখা তাঁরই কণ্ঠে ‘আমি বাংলার গান গাই’ শুনে আবেগে ভাসলেন উপস্থিত সকলেই। মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনও গাইলেন বাংলার গান। শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুর মোহিত করল ভাষাদিবসের সকাল। খোলের তালে ছন্দের গান গেয়ে ভাষাদিবসকে শ্রদ্ধা জানালেন শিল্পী ইমন চক্রবর্তী। বাংলা জুড়ে পালন করা হল আন্তর্জাতিক ভাষাদিবস। ময়দানের একুশে পার্কে শহিদদের শ্রদ্ধা জানান সাংসদ মালা রায়, বিধায়ক এবং মেয়রপারিষদ দেবাশিস কুমার। সিঁথির মোড়ে প্রভাতফেরিতে শামিল হন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। অন্যদিকে, শান্তিনিকেতনে রঙিন আলপনায় সেজে উঠেছে বিভিন্ন রাস্তা। সাজানো হয়েছে বাংলাদেশ ভবন।
আরও পড়ুন-তিন প্রধানকে ছাড়াই শুরু হল কন্যাশ্রী কাপ
তৈরি করা হয়েছে শহিদ বেদি। শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির ছাত্রাবাস থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গাইতে গাইতে পড়ুয়াদের সঙ্গে পদযাত্রায় পা মেলান বিশ্বভারতীর অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা। বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের কোনায় কোনায় এভাবে পালন করা হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সকালে শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। বাংলার গান গাইতে গাইতে ছাত্র-যুব-সহ সব বয়সি মানুষই এদিন পা মেলান শ্রদ্ধার মিছিলে। সকলের কণ্ঠে নতুন করে জেগে ওঠে ‘মোদের গরব মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা’।