প্রতিবেদন: সোমবার সাতসকালে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকল শহরের আকাশ। এদিন ভোর থেকেই ছিল ঘন কুয়াশা। দৃশ্যমানতা কমে গিয়ে ৫০ মিটারের নীচে চলে গিয়েছিল। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ার জেরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় শহরের জনজীবন। কুয়াশার কারণে সবচেয়ে বেশি অচলাবস্থা তৈরি হয় দমদম বিমানবন্দরে।
আরও পড়ুন-মোদের গরব মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা
ধাক্কা খায় ফেরি সার্ভিসও। ট্রেন চলাচলও সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। সবমিলিয়ে ভোর থেকেই শহরজুড়েই শুধুই বিভ্রাট। ঘন্টা পাঁচেক পর সকাল ৯টা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এদিন ভোর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় দমদম বিমানবন্দরের উড়ান পরিষেবা। ঘন কুয়াশার প্রকোপে ভোর চারটে থেকে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে একটি বিমানও উড়তে পারেনি। উল্টোদিকে বাইরে থেকে আসা বিমানগুলির অবতরণও করানো যায়নি। বিমানবন্দরে আটকে পড়েন প্রচুর যাত্রী। কুয়াশার প্রকোপ না কাটলে উড়ান পরিষেবা চালু করা সম্ভব নয় বলেও জানিয়ে দেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এই ঘোষণার পরই বিমানবন্দরজুড়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।
আরও পড়ুন-কার্লসেনকে হারিয়ে চমক প্রজ্ঞানন্দের
কর্তৃপক্ষ জানান, ঘন কুয়াশায় ঢেকে গিয়েছিল বিমানবন্দর চত্বর। তার জেরে বিমান উড়তে পারেনি। দৃশ্যমানতা এতটাই কম ছিল যে সকালে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা একটি বিমানও উড়তে পারেনি। বাইরে থেকে যে উড়ানগুলির পৌঁছনোর কথা ছিল, সেগুলিকে অন্য জায়গায় জরুরি অবতরণ করানো হয়। বেশিরভাগ উড়ানগুলিকে রাঁচিতে অবতরণ করানো হয়। প্রথমদিকে কৃত্রিম আলো জ্বালিয়ে বিমান নামানোর চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু কুয়াশা এতটাই ঘন ছিল যে তাও সম্ভব হয়নি। ফলে একাধিক বিমানের সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়। তবে বেলা বাড়তে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। উড়ান পরিষেবার পাশাপাশি, ঘন কুয়াশার জেরে শহর কলকাতার যান এবং ফেরি চলাচলও ব্যাহত হয়। এর জেরে এদিন সকালে হাওড়া ও শিয়ালদহ দুই সেকশনে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।