নয়াদিল্লি, ২৪ ফেব্রুয়ারি : ঋদ্ধিমান-ইস্যুতে বঙ্গ উইকেটকিপারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। স্পষ্ট বলেছিলেন ঋদ্ধিমান অবিচারের শিকার। সৈয়দ কিরমানি এবার বলে দিলেন, তিনিও একসময় অবিচারের শিকার হয়েছিলেন। পারফরম্যান্স করেও বাদ পড়েছেন টেস্ট ও একদিনের দল থেকে।
ঋদ্ধিমান অবিচারের শিকার হয়েছেন বলেও কিরমানি অবশ্য যোগ করছেন, বর্তমানে আইপিএলের জন্য নতুনরা উঠে আসছে। ফলে ঋদ্ধিমানের সামনে কঠিন লড়াই ছিল। কিরমানি জানান, তিনি এটা বুঝতে পারছেন না যে ঋদ্ধিমান নিয়ে জাতীয় নির্বাচকরা ঠিক কি ভেবেছেন। তবে তাঁর সাফ কথা, ঋদ্ধিমানের মতো তিনিও তাঁর সময়ে অবিচারের শিকার হয়েছেন। তবে সে সময়ে এসব নিয়ে কথা হত না বলে এসব সামনে আসেনি।
আরও পড়ুন-‘চাপ কাটাতেই নেতৃত্ব ছেড়েছি’, আরসিবির অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গে বিরাট
কিরমানি একটি ওয়েবসাইটে বলেছেন, “আমি তখন কেরিয়ারের মধ্যগগনে ছিলাম। তাও টেস্ট ও একদিনের দল থেকে অকারণে বাদ পড়েছিলাম। আমি ৮৮টি টেস্ট খেলেছি। বেশ কিছু একদিনের ম্যাচে দলকে বাঁচিয়েছি। আমার সামনে কোনও লড়াই ছিল না। তাও দল থেকে বাদ পড়েছিলাম। আমাকে নিয়ে ভুল রিপোর্ট বেরোত কাগজে। কেউ হয়তো স্লিপে ক্যাচ মিস করল, কাগজে আমার ছবি দিয়ে বেরোত কিরমানি ক্যাচ ফেলেছে বা স্ট্যাম্প মিস করেছে।”
আরও পড়ুন-নিয়মরক্ষার ম্যাচে জয় মিতালিদের
এমনকী জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর রাজ্য দল কর্ণাটকও তাঁকে ফিরে আসার সুযোগ দেয়নি। কিরমানি তখন বাধ্য হয়ে রেলের হয়ে রঞ্জি খেলেন। কিরমানির দাবি, তখন কর্ণাটক ক্রিকেট সংস্থার এক কর্তা ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন, “তুমি রেলের হয়ে খেলবে? দেখি কি করতে পার।” কিরমানির আক্ষেপ, এই ছিল একজন টিমম্যান ও বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটারের প্রতি কর্তাদের ব্যবহার। কিরমানি বলেছেন, ঋদ্ধিমানের খেলা চালিয়ে যাওয়া উচিত। “ঋদ্ধিমান সাহসী ক্রিকেটার। যতদিন উপভোগ করবে, ওর খেলা চালিয়ে যাওয়া উচিত। অবসর ওর হাতে। এতে কেউ জোর করতে পারবে না।” বক্তব্য কিরমানির।