সংবাদদাতা, হুগলি : বাম এবং কংগ্রেস সমর্থকদেরও তৃণমূল কংগ্রেসকে (Trinamool Congress) ভোট দেওয়ার আহ্বান জানালেন কুণাল ঘোষ। তাঁর যুক্তি, বাম-কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার অর্থ ভোট নষ্ট করা। উন্নয়নের পথের কাঁটা বিজেপির হাত শক্ত করা। বাংলার উন্নয়নের স্বার্থে পুরনো দিনের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদেরও তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) প্রার্থীদের দিকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ডাক দেন তিনি। শুক্রবার পুরভোটের প্রচারের শেষদিনে ডানকুনিতে দলের প্রার্থীদের সমর্থনে এক জনসভায় বক্তব্য পেশ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন যুবনেতা সুদীপ রাহা, প্রয়াত সাংসদ আকবর আলি খোন্দকারের পুত্র অর্কিত। বিরোধীদের প্রতি আগাগোড়াই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন কুণাল (Kunal Ghosh)। ধ্বংসাত্মক রাজনীতির জন্য বিজেপিকে রীতিমতো তুলোধনা করেন তিনি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পের উপযোগিতার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বুঝিয়ে দেন, বাংলার উন্নয়নের প্রশ্নে কোনও আপস নয়।
আরও পড়ুন – প্রচারে বেরিয়েও দুই তৃণমূল প্রার্থী দেখলেন রোগী
২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের দিবাস্বপ্নভঙ্গের কাহিনি তুলে ধরে কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) কটাক্ষ, “বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিল্লি থেকে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা এ-রাজ্যে ডেলি প্যাসেঞ্জারি করতেন। প্রচারে এসে বলে গিয়েছিলেন, ‘আবকি বার দোশো পার’। কিন্তু বাস্তবে মানুষ কী দেখলেন? পেট্রোল-ডিজেলের দাম, দু’শো পার। আসলে যে এই কথাটাই বলতে চাইছেন তাঁরা, তা কেউ বোঝেননি তখন। দৈনন্দিন জীবনে মানুষের যা কিছু প্রয়োজন, সবকিছুরই দাম বাড়িয়ে চলেছে কেন্দ্র। পেট্রোল-ডিজেল-রান্নার গ্যাস থেকে শুরু করে ওষুধ— বাদ যাচ্ছে না কিছুই।” রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিজেপির মিথ্যাচারের যোগ্য জবাব দেন তিনি। তাঁর মন্তব্য, বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোতে গিয়ে দেখুন, পতাকা লাগাতে দেওয়া হয় না বিরোধীদের। এর নাম কি গণতন্ত্র? বিজেপি গণতন্ত্রের কথা বলে কোন মুখে? দল নির্দেশ দিলে বিজেপির একজন কর্মীও থাকবে না এ রাজ্যে। মাত্র দু’ঘণ্টা সময় লাগবে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমাদের বিশ্বাস উন্নয়নই। এই উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাব আমরা।