প্রতিবেদন : প্রায় দু’দিন যুদ্ধ চলার পর রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ঘোষণা করলেন, ইউক্রেনের সেনা যদি এখনই অস্ত্র পরিত্যাগ করে তাহলে তাঁরা আলোচনায় বসতে রাজি আছেন। সেক্ষেত্রে রাশিয়ার (Russia) মিত্র দেশ বেলারুশে (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বেলারুশ কার্যত প্রধানমন্ত্রী ‘পুতুল’ হিসাবে কাজ করে বলে অভিযোগ) ইউক্রেনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি রাশিয়ার প্রতিনিধিদল। একইসঙ্গে লাভরভ বলেন, রাশিয়া (Russia) চায় না ‘নব্য নাৎসিরা’ ইউক্রেনের ক্ষমতায় থাকুক। অর্থাৎ বৈঠকের প্রস্তাব দিলেও একাধিক শর্ত রেখেছে পুতিন প্রশাসন। যে বেলারুশের মধ্যে দিয়ে ইউক্রেনে ঢুকে আক্রমণ চালিয়েছে রুশ সেনা, সেই বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। এর পাশাপাশি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইউক্রেনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও তাঁর সরকারকে ক্ষমতায় চায় না পুতিন সরকার। ফলে আলোচনার প্রস্তাব দিলেও তা কতটা ফলপ্রসূ হবে এবং পুতিনের প্রকৃত উদ্দেশ্যই বা কী, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে রাশিয়া। শুক্রবার বিকেলের দিকে রুশ সেনা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। এই অবস্থায় রুশ বিদেশমন্ত্রীর এই প্রস্তাবটি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আন্তর্জাতিক মতামত উড়িয়ে রাশিয়া যেভাবে একতরফা ইউক্রেনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে তা আদৌ ভাল চোখে দেখছে না রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও ইউক্রেন নিয়ে একটি প্রস্তাব আসতে চলেছে। সে বিষয়টি উল্লেখ করে রুশ বিদেশমন্ত্রী লাভরভ বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের সমর্থন তাঁদের দিকেই থাকবে বলে তাঁরা মনে করছেন। অন্যদিকে ইউক্রেন নিয়ে আলোচনার কথা বললেও রাষ্ট্রসংঘ আদৌ যুদ্ধ থামাতে কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ ইউক্রেনকে আর্থিক সাহায্যের কথা জানালেও যুদ্ধের হাত থেকে বাঁচানোর কোনও পথ বের করতে পারেনি এই সংস্থা।