সুমন তালুকদার, বারাসত : রাজনৈতিক মাটি হারিয়ে রবিবার পুরভোটের দিন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বেশ কিছু এলাকায় তাণ্ডব চালায় বিজেপি (BJP)। পিছিয়ে ছিল না বাম ও কংগ্রেসও। ইভিএম ভাঙচুর, বহিরাগতদের এনে ভোট লুট- সবই চালায় তারা। তবে পুলিশ ও সাধারণ মানুষ সর্বত্রই তাদের অসাধু উদ্দেশ্য সফল করতে দেয়নি। বারাকপুরের বিজেপি (BJP) সাংসদ অর্জুন সিংয়ের এক আত্মীয়-সহ বারাসত পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শ্যামলী দাশগুপ্তকে আটক করে পুলিশ। নিজের হার বুঝতে পেরে অনুগামীদের নিয়ে বুথে ঢুকে আক্রোশে ইভিএম মেশিনই আছাড় মেরে ভেঙে দেন শ্যামলী। ফলে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সাধারণ ভোটাররা। বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে বিজেপি প্রার্থীকে আটক করে। বসিরহাট পুরসভার ধলতিথায় কালীনাথ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৪১ নম্বর বুথের ইভিএম ভাঙার অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মী সুজন চন্দ্রর বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন – পূর্ব বর্ধমানে ৬ পুরসভায় ৩৮৬ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ
৩০টি ভোট পড়ে যাওয়ার পর ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ইভিএম ভেঙে দেন তিনি। পুলিশ আটক করে তাঁকে। তবে বনগাঁয় তেমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। জেলার ২৫টি পুরসভায় রবিবার সকালে যথারীতি ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে ইভিএমের যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয় কিছু দেরিতে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি ও সিপিএম বহিরাগতদের ঢুকিয়ে ছাপ্পা দেওয়া শুরু করতেই এলাকার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পুলিশও কঠোর হাতে পরিস্থিতি সামাল দেয়। কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ও অবাধ ভোট হয়েছে বলেই দাবি সাধারণ মানুষের।