প্রতিবেদন : দ্রুততার সঙ্গে পেনশন চালু করে দিতে হবে। কোনওভাবেই পেনশন ঝুলিয়ে রাখা যাবে না। এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। আসলে কেন্দ্রীয় সরকার যখন তাদের কর্মচারীদের পেনশন বন্ধ করে দিয়েছে তখন উল্টো পথে হেঁটে আরও বেশি সংখ্যক অবসর নেওয়া কর্মীদের নিরাপত্তার আওতায় এনেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের পারিবারিক পেনশন প্রাপকদের ন্যূনতম আয়ের সীমা বাড়িয়ে আরও বেশি পরিবারকে এর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
আরও পড়ুন-ফল অনুমেয়, সবুজ আবিরের চাহিদা তুঙ্গে
এবার ফ্যামিলি পেনশন শুরুর অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্রুততা আনতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। রাজ্যের অর্থদফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে বিভিন্ন সরকারি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় নথি, তথ্য প্রভৃতি ঠিকমতো না পাঠানোর জন্য অনেক সময় ফ্যামিলি পেনশন অনুমোদন পেতে খুব দেরি হচ্ছে। সরকার চাইছে, ফ্যামিলি পেনশনের বিষয়গুলির দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। এই কারণে সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী কী কী নথি পেশ করতে হবে তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে অর্থ দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে। কর্মরত অবস্থায় কোনও সরকারি কর্মীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবার পেনশনের দাবিদার। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী পেনশন প্রাপকের মৃত্যু হলেও পরিবার ফ্যামিলি পেনশন পায়।
আরও পড়ুন-সোনামুখীর তৃণমূল নেতৃত্ব এমন কথা নয় যা আঘাত দেবে
মৃতের স্ত্রী বা স্বামী, নাবালক পুত্র, অবিবাহিত কন্যা প্রভৃতিরা ফ্যামিলি পেনশন পান। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক কালে পেনশন, পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমাও বাড়ানো হয়েছে। পেনশনের ঊর্ধ্বসীমা ৩৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হবে ১ লক্ষ ৫০০ টাকা। পারিবারিক পেনশনের ঊর্ধ্বসীমা ২১ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হবে ৬০,৩০০ টাকা। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মৃত্যুজনিত বা অবসরকালীন গ্র্যাচুইটিও ৬ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ লক্ষ টাকা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-হামাগুড়ি দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে বিফল কর্মসচিব
অবসরপ্রাপ্ত কর্মী বা পারিবারিক পেনশনভোগীর বয়স ৮০ বা তার বেশি হলে তিনি নতুন মূল পেনশনের ২০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত পাবেন। ৮০ থেকে ৮৫ বছর বয়স পর্যন্ত মিলবে ২০ শতাংশ অতিরিক্ত পেনশন। ৮৫ থেকে ৯০ বছর বয়স পর্যন্ত ৩০ শতাংশ, ৯০ থেকে ৯৫ বছর বয়স পর্যন্ত ৪০ শতাংশ, ৯৫ থেকে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত ৫০ শতাংশ এবং শতায়ুরা মূল পেনশনের দ্বিগুণ বাড়তি হিসেবে পাবেন।