সংবাদদাতা, হুগলি : একসময় জঙ্গলের পুরু ছাউনিতে ঢাকা ছিল চাঁপদানি। লোকমুখে ঘোরে প্রবাদ, জনপদের মাঝে দশ বিঘা জমি জুড়ে পড়ে থাকা বিরাট জলাশয়ে বাঘ জল খেতে আসত। জলাশয়ের বড় ঘাটের নামটি তাই কালের নিয়মে ক্রমশ হয়ে ওঠে বাঘায়াত ঘাট। ঘাটের গায়ে কালের ছোপ। জরাজীর্ণ দশায় প্রাচীন স্মৃতি নিয়ে টিকে ছিল কোনওক্রমে।
আরও পড়ুন-পুলিশের জালে ড্রাগ ক্যুইন
উন্নয়নের উজ্জীবনী মন্ত্রে সেই ঘাটই পুনর্জীবন পেল। আমূল সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন ঘটিয়ে বাঘায়াত ঘাটকে দূষণমুক্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করল চাঁপদানি পুরসভা। নবসাজের ঘাট ও সংলগ্ন এলাকার উদ্বোধন করলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক অরিন্দম গুঁই ও চাঁপদানি পুরসভার প্রশাসক সুরেশ মিশ্র। রাজ্য সরকারের গ্রিন সিটি প্রকল্পের টাকায় এই সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের কাজ হয়েছে। ঘাটে ঢোকার মুখেই তৈরি করা হয়েছে নজরকাড়া প্রবেশদ্বার। জলাশয়ের পাড় বাঁধিয়ে ‘জল ধরো, জল ভরো’ প্রকল্পের মাধ্যমে পুরনো অবস্থায় ফেরানো হয়েছে। সীমানা দিয়ে ঘেরা বাঘায়াত ঘাটে হয়েছে শহরবাসীর বিশ্রামের জায়গা।
আরও পড়ুন-জঙ্গলমহলে পুলিশের উদ্যোগে শুরু কোচিং
বসেছে আধুনিক প্রযুক্তির বাংলা-ইংরেজি হরফে তৈরি ‘আমি চাঁপদানিকে ভালবাসি’ স্মারক। মানুষ যাতে প্রকৃতির কোলে কিছুটা সময় কাটাতে পারে সেই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। এলাকায় নিষিদ্ধ হয়েছে ধূমপান। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, সাংসদ হয়ে চাঁপদানির জন্য অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। বাঘায়াত ঘাট সেই তালিকায় অন্যতম। বিধায়ক অরিন্দম গুঁই বলেন, বাঘায়াত ঘাটের পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। শহরবাসী নিশ্চয়ই সেই দায়িত্ব পালন করবেন। পুরপ্রশাসক সুরেশ মিশ্রের আবেদন, ঘাটের সঙ্গে এলাকাবাসীর ভাবাবেগ জড়িয়ে রয়েছে। অনুষ্ঠান-পূজাপার্বণে সবাই এই ঘাট অবশ্যই ব্যবহার করবেন। তবে দয়া করে পরিবেশের কথাও খেয়াল রাখবেন।