বাজেট ২০২২-২৩ পেশ করলেন রাজ্যের প্রথম মহিলা অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। তাঁর বাজেট পেসের সময়ই তুমুল হট্টগোল শুরু করেন বিজেপি (BJP) বিধায়করা। তাঁর মধ্যেও বাজেট প্রস্তাব পাঠ করেন তিনি। এর জন্য পরে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) তাঁকে ধন্যবাদ জানান। এরপরে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বাজেটের সারাংশ সম্পর্ক জানান। বলেন, অতিমারি পরিস্থিতি এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় সত্ত্বেও রাজ্যের রাজস্ব আদায় বেড়েছে ৩.৭৬ গুণ। আগের বারের তুলনায় এবার বাজেট বরাদ্দ ৮ গুণ বাড়ানো হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একই সঙ্গে তিনি বলেন, বাজেটে সামাজিক প্রকল্পগুলির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। যে প্রকল্প চলছিল তা একটিও বন্ধ করা হচ্ছে না।
একনজরে রাজ্য বাজেট :-
• মোট বাজেট ৩ লক্ষ ২১ হাজার ৩০ কোটি টাকা
• বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে ৮ গুণ
• সামাজিক প্রকল্প ১০.৭গুণ বরাদ্দ বেড়েছে
• রাজস্ব আদায় বেড়েছে ৩.৭৬ গুণ
• ২৫.৪গুণ বেড়েছে উচ্চশিক্ষা খাতে বরাদ্দ
• পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নে ৮.২ গুণ বরাদ্দ বেড়েছে
• পরিকাঠামোয় বরাদ্দ বেড়ে ৬ গুণ
• লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ১ কোটি মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন
• খাদ্যসাথীতে ১০কোটি মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন
• লক্ষীর ভাণ্ডার ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব
• নারী ও শিশুকল্যাণ ১৭ দশমিক ৫ গুণ বেড়েছে বরাদ্দ
• পিছিয়ে পড়া, আদিবাসী অনগ্রসর উন্নয়ে ৬ দশমিক ৭ গুণ বেড়েছে বরাদ্দ
• ফ্ল্যাট-বাড়ি কেনাবেচায় কর ছাড়, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২শতাংশ ছাড় মিলবে স্ট্যাম্প ডিউটিতে
• সিএনজি চালিত গাড়ির রেজিস্ট্রশনে ছাড়
• চা-শিল্পে গ্রামীণ ‘কর্মসংস্থান সেস’ এবং ১৯৭৩-এর অধীনে ‘শিক্ষা সেস’ মকুবের প্রস্তাব
• বাজেটে আগামী চার বছরে ১ কোটি ২০ লক্ষ কর্মসংস্থানের লক্ষ্য
• বেসরকারি মিলিয়ে ১.২ কোটি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা
• রোড ট্যাক্স ২বছরের জন্য মকুব
• শিক্ষাশ্রী প্রকল্পে ১ কোটি সাড়ে ৪ লক্ষ স্কলারশিপ
• ১ লক্ষ ৫৭ হাজারের বেশি জাতি শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে
• কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন ৭৭ লক্ষ
• রূপশ্রী প্রকল্পে ১০ হাজার টাকা পেয়েছেন ১১ লক্ষের বেশি
৯০ শতাংশ পরিবার কোনও কোনও রাজ্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে। রাজ্যে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে এদিন ফের সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। সারাদেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাতেই এখনও সরকারি পেলশন চালু আছে।