ভেষজ আবিরেও স্বনির্ভর জনজাতি মহিলারা

Must read

সঞ্জিত গোস্বামী, পুরুলিয়া : দোল মানেই রঙ। তবে ক্রমশ কৃত্রিম রঙের দিন ফুরোচ্ছে। কারণ রাসায়নিক মেশানো রঙে চোখ এবং ত্বকের ক্ষতি হয়। কলকাতা-সহ গোটা বাংলাকে প্রাকৃতিক আবিরে রঙিন করতে এবার ময়দানে নেমেছে পিছিয়ে-পড়া, লুপ্তপ্রায় জনজাতি বীরহড়রা। সৌজন্যে একদল তরুণ-তরুণীর স্বপ্নে গড়া মৈত্রেয়।

পুরুলিয়ার (Purulia) অযোধ্যা পাহাড়তলির বেড়সা গ্রামে মৈত্রেয়র সহযোগিতায় এবং বলরামপুর ব্লক প্রশাসনের সৌজন্যে বীরহড় মহিলারা পলাশফুল, বিট, নিমপাতা থেকে তৈরি করছেন ভেষজ আবির। নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাহা সাঁদেশ’। আবির তৈরি করে ২০০ ও ৪০০ গ্রামের প্যাকেটবন্দি করা হচ্ছে। দোল মাতাতে পুরুলিয়া শহর, বলরামপুর ও কলকাতায় যাচ্ছে সেই আবির।

আরও পড়ুন – বিশ্বভারতীতে ছাত্রছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্ত পরীক্ষা বয়কট

মৈত্রেয়র পক্ষে প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্য ও সপ্তর্ষি বৈশ্য জানিয়েছেন, সারা রাজ্যে এখন মাত্র ৪১০ জন বীরহড় জনজাতির মানুষ রয়েছেন। এঁদের উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়ার পর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জীবিকার সংস্থানকে প্রাথমিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। পুরুলিয়ার (Purulia) জেলাশাসক রাহুল মজুমদার, বলরামপুরের প্রাক্তন বিডিও পৌষালি চক্রবর্তী ও বর্তমান বিডিও শুভাশিস ঘোষ পাশে থেকেছেন। বীরহড় মহিলাদের দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে বাহা সঁদেশ নামের আবির। একশো শতাংশ প্রাকৃতিক।

বেড়সা বীরহড় মহিলা স্বনির্ভর সমিতির দলনেত্রী সারথী শিকারী বলেছেন, এই আবির কীভাবে তৈরি করতে হবে শিখে নিয়েছেন। পলাশের দেশ পুরুলিয়ায় (Purulia) পলাশফুল পেতে সমস্যা হয়নি তাঁদের।

Latest article