সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : ছাত্র আন্দোলন ভাঙতে বিশ্বভারতীর পরীক্ষা বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সমস্ত বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যক্ষদের জানায়, পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের অকৃতকার্য হিসেবেই ধরা হবে এবং মার্কশিটে ‘ব্যাক’ বলে উল্লেখ করা হবে। পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়গুলি পরীক্ষার নিয়মেই নির্দেশিত হবে। এই বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পরই, আন্দোলনরত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতিসঞ্চার হয়।
তারপর ছাত্রছাত্রী ঐক্যমঞ্চের পক্ষে সোমনাথ সৌ এবং বিশ্বভারতীর টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতি মীনাক্ষী ভট্টাচার্য একযোগে পরীক্ষা বিভাগে দেখা করেন। কিন্তু সুফল না মেলায় তাঁরা অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন। সোমনাথ বলেন, সব হস্টেল খোলা-সহ আমাদের তিন দফা দাবি না মেটা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে। আন্দোলনে ভয় পেয়ে তাকে বানচাল করতে ছাত্রছাত্রী স্বার্থবিরোধী বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন উপাচার্য। দাবি না মেটা এবং এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমরা আমরণ অনশন চালাব। মীনাক্ষী অনশনে শামিল হওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, এই আন্দোলনের জেরে যদি তাঁদের মৃত্যু হয়, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী দায়ী থাকবেন। বিশ্বভারতীর এবিভিপি আহ্বায়ক অপূর্ব সারদ বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলন চলছে রাজনীতির ঊর্ধ্বে। সোমবার থেকে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবন ঘেরাও করেছি। দমনপীড়নমূলক নোটিশ প্রত্যাহার করতে হবে। হস্টেল না খুললে, পরীক্ষার্থীরা কী করে পরীক্ষা দেবে?