বিশ্বভারতীতে নতুন নতুন সংকট তৈরি করে চলেছেন তুঘলকি উপাচার্য, বসন্ত-উৎসব নিয়ে দায় রাজ্য ও পুলিশের ঘাড়ে

ভিসি সেক্রেটারিয়েটের ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্য সরকার ও রাজ্য পুলিশকে ঐতিহ্যবাহী বড় আকারের বসন্ত উৎসব না করতে পারার জন্য দায়ী করেন।

Must read

সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : নিজের অপদার্থতা এবং স্বৈরাচার ঢাকতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বরাবরই অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাতে ভালবাসেন। বসন্ত উৎসব নিয়েও তার ব্যতিক্রম হল না। সরাসরি রাজ্য সরকার ও রাজ্য পুলিশের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিলেন। গত বছর করোনার কারণ দেখিয়ে গোপনে ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উৎসব করেছিল বিশ্বভারতী। এবারও সেই পথে হাঁটতে চলেছে। এবার করোনা নেই, তাই দায়ী করলেন রাজ্য সরকারের সদিচ্ছাকে। অথচ বরাবর কী পৌষমেলা, কী বসন্ত-উৎসব, যে কোনও বিষয়ে কবিগুরুর বিশ্বভারতীকে সাহায্য করতে আগ্রহ দেখায় রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন-পলাশের রঙে দোল উদযাপন পাহাড়ে

সম্প্রতি ভিসি সেক্রেটারিয়েটের ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্য সরকার ও রাজ্য পুলিশকে ঐতিহ্যবাহী বড় আকারের বসন্ত উৎসব না করতে পারার জন্য দায়ী করেন। বলেন, ‘আশ্রমে বসন্ত-উৎসব হবে পারিবারিক অনুষ্ঠানের মতো। এটা আমজনতার অনুষ্ঠান নয়। অবশ্যই দোলের দিন বসন্ত উৎসব হবে না। কারণ বিশাল জমায়েত হবে। যা রাজ্য সরকার ও রাজ্য পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম। বরং বলব তাঁরা আমাদের সাহায্য করতে ইচ্ছুক নন। আমরা তাঁদের উপর নির্ভরও করি না। আমরা আমাদের মতো করে করব। এ ব্যাপারে সঙ্গীতভবনের সাহায্য নেব। নিয়ম বা প্রথা মেনেই আগের দিনের অনুষ্ঠান হবে। সকালে বৈতালিক। রাতে কারফিউ থাকলে সন্ধ্যায় বৈতালিক হবে না। প্রথা মেনেই সমস্ত অনুষ্ঠান হবে। তারিখ এখনই ঘোষণা করছি না।’

Latest article