প্রতিবেদন : যিনি দলটাকে দায়িত্ব নিয়ে ডোবালেন তাঁর হাতেই দলের স্টিয়ারিং তুলে দিলেন বাকিরা। বঙ্গ সিপিএমের এ এক নতুন সার্কাস দেখল রাজ্যের মানুষ৷ তিনদিনের রাজ্য সম্মেলন শেষে মহম্মদ সেলিম হলেন বঙ্গ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেবদের পাঠানো হল বানপ্রস্থে। মীনাক্ষী, সৃজন, সায়নদীপ, টিভি শতরূপ, মধুজার মতো তথাকথিত তাজা রক্তের আমদানি হল রাজ্য কমিটিতে।
আরও পড়ুন-স্পিন উইকেট নিয়ে আকিবের তোপ, ভারতের সাহায্য নিক পিসিবি
কঙ্কাল কাণ্ডের মতো গুরুতর কেসে অভিযুক্ত জেল খাটা সুশান্ত ঘোষের মতো দাগিরও জায়গা হয়েছে রাজ্য কমিটিতে। ২০২১-এর নির্বাচনে আইএসএফ-এর মতো সাম্প্রদায়িক দলের সঙ্গে সিপিএমের জোটের মূল কারিগর ছিলেন মহম্মদ সেলিম। দলের মধ্যে নিজের প্রভাব খাটিয়ে আইএসএফের সঙ্গে প্রায় জোর করেই জোটের পথ পরিষ্কার করেন সেলিম। যার জেরে আজীবন নিজেদের অসাম্প্রদায়িক বলে জাহির করা সিপিএমের গায়ে লাগে সাম্প্রদায়িকতার কালি। বিধানসভায় হেরে ভূত হয়ে শূন্যে নেমে ইতিহাস তৈরি করে সিপিএম। আইএসএফ ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করায় তিনদিনের এই ২৬তম রাজ্য সম্মেলনে দফায় দফায় বাছাই করা গালাগাল জুটেছে বঙ্গ সিপিএমের ম্যানেজারদের কপালে। তারপরেও লবি খাটিয়ে সেই সেলিমের হাতেই দলের দায়িত্ব তুলে দিল৷ সিপিএম। পার্টি তৈরি হওয়ার পর এই প্রথম কোনও সংখ্যালঘু মুখকে সম্পাদকের আসনে বসাল সিপিএম।