প্রতিবেদন : ভারত-বাংলাদেশ স্থলসীমান্তে ট্রাক টার্মিনাসগুলি পরিচালনার দায়িত্ব রাজ্য সরকার নিজের হাতে নেওয়ার পর গত একমাসে ১ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ, দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি, কোচবিহারের চাংড়াবান্ধা, আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁও, জলপাইগুড়ির ফুলবাড়ি এবং দার্জিলিংয়ের পানিটাঙ্কি— এই ৬টি ট্রাক টার্মিনাস থেকে পার্কিং ফি বাবদ এই রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে পর্যন্ত স্থানীয় এজেন্সি এবং পুরসভাগুলি এই টার্মিনাসগুলি থেকে পার্কিং ফি আদায় করত।
আরও পড়ুন-দুর্যোগ-বাঘ-কুমির, লড়াইয়ের নাম সুন্দরবন
যা নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ ওঠায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পরিবহণ দফতর সমস্ত ট্রাক টার্মিনাসগুলিকে নিজে হাতে নিয়ে সুনির্দিষ্ট হারে রাজস্ব আদায় শুরু করে। তারপরেই এক মাসের মধ্যে এক কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের দাবি। গত মাসে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই ট্রাক টার্মিনাসগুলি পরিবহণ দফতরকে নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন। টার্মিনাসগুলি থেকে পার্কিং বাবদ ফি আদায় করার নির্দেশও দেন তিনি। এরপরেই নবান্ন থেকে নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য জুড়ে এই ধরনের সমস্ত টার্মিনাস অধিগ্রহণ করা হয়। ফলে গত 8 ফেব্রুয়ারি থেকে সমস্ত ট্রাক টার্মিনাস থেকে পার্কিং ফি আদায়ের কাজ শুরু করে রাজ্যের পরিবহণ দফতর। আর সেই রাজস্ব সরাসরি জমা পড়ে সরকারের কোষাগারে।
আরও পড়ুন-আসন বদল চার বিধায়কের
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টার্মিনাসের টাকা আদায় নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ফলে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের রাজস্ব আদায়ের অপব্যবহার বন্ধ করার জন্য একটি নতুন পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। যার জেরে রাজ্যের এই ৬টি টার্মিনাসে শুরু হয়েছে নতুন ব্যবস্থা। শুধুমাত্র এক মাসে এক কোটি টাকা রাজস্ব আদায় একটা নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, যদি একই পন্থায় আরও অনেক জায়গায় এই নির্দেশিকা বলবৎ করা হয়, তাহলে অনেক জায়গা থেকে আরও বেশি রাজস্ব অর্জন করার সম্ভব হবে।