সংবাদদাতা, বারাসত: পুর নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পরেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। হতাশ বিরোধীরা নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। আমডাঙা ও বসিরহাটের দু’জায়গায় দুটি পৃথক ঘটনায় আক্রান্ত হলেন তৃণমূল কর্মীরা। আমডাঙায় তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক মহম্মদ রবিউল মণ্ডলকে লক্ষ্য করে অজ্ঞাত পরিচয় দূষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন-সীমান্তের ট্রাক টার্মিনাসে তৎপর পরিবহণ দফতর, একমাসে কোটি টাকা রাজস্ব
কপাল জোরে প্রাণে বেঁচে গেলেও বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বারাসত জেলা সদর হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন। অভিযোগ, জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে আমডাঙার কুমারদুনী গ্রামে আইএসএফ সমর্থকেরা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর চড়াও হয়। বাধা দিলে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর বোমা, গুলি চালায় আইএসএফ সমর্থকরা। ঘটনায় দুই পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন জখম হয়েছেন। এর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক মহম্মদ রবিউল মণ্ডলকে লক্ষ্য করে প্রথমে তিনটি বোমা ছোঁড়া হয়। পরে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। রবিউলের বাঁহাতে গুলি লাগে। আহতদেরকে প্রথমে আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের বারাসাত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন-দুর্যোগ-বাঘ-কুমির, লড়াইয়ের নাম সুন্দরবন
ঘটনাস্থলে আমডাঙা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী রয়েছে। অন্যদিকে বসিরহাটে পারিবারিক গন্ডগোলকে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা বিজেপির। বসিরহাট পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী রুশা মজুমদার নাকি জেনারেল কাস্ট ছিলেন। কিন্তু ওয়ার্ডটি এসটি সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় তিনি কাস্ট পরিবর্তন করে এসটি হয়েছেন। এই অভিযোগ তুলে গন্ডগোল পাকায় বিজেপি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার গভীর রাতে এলাকার বিজেপি কর্মীরা বাঁশ, লাঠি, ধারালো অস্ত্র নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী, সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। ঘটনায় আহত দুই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী, একজন বিজেপি কর্মী বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনার পর এলাকাজুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি নির্বাচনের বিধি ও নিয়ম মেনেই সব নথিপত্র আদালতে জমা দিয়েই ওই প্রার্থী নির্বাচনে লড়েছেন। হেরে গিয়ে এখন বিজেপির এখন উল্টোপাল্টা অভিযোগ তুলছে। পরিকল্পিতভাবে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের হেনস্থা ও মারধর করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন।