প্রতিবেদন : আন্তর্জাতিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করে ইউক্রেনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অসংখ্য প্রাণহানি, ক্ষয়ক্ষতির জেরে বিধ্বস্ত ইউক্রেন। বিশ্বজনমত উপেক্ষা করে রুশ আক্রমণ আরও তীব্র ও বিধ্বংসী চেহারা নিচ্ছে। এই অবস্থায় পুতিনের বিপুল পরিমাণ গোপন সম্পত্তির খোঁজ শুরু করল ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি। বিদেশে থাকা এইসব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করাই মূল উদ্দেশ্য। ব্রিটেন-সহ পশ্চিমি দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে পুতিনের লুকিয়ে রাখা সম্পত্তির খোঁজ করতে গিয়ে সামনে এসেছে অবাক করা তথ্য। আন্তর্জাতিক মহলের অনুমান, এই মুহূর্তে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনই বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি।
আরও পড়ুন-অবশেষে খোঁজ মিলল স্টিপানের, আপাতত ফ্রান্সেই নিরাপদ আশ্রয়ে
যদিও এই বিপুল সম্পত্তির সবটা আদৌ তাঁর নিজের নামে নেই। পুতিন নিজে কখনও তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ প্রকাশ করেন না। জানা গিয়েছে, পুতিনের বিপুল সম্পত্তি, বিলাসবহুল একাধিক প্রাসাদ তাঁর প্রেমিকা, স্ত্রী, বিভিন্ন সন্তান, অতি ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধু-বান্ধবের নামে রাখা আছে। নিজের বাল্যবন্ধু বুচারের ছেলের নামে পুতিন নাকি ৫০ কোটি ডলারের সম্পত্তি রেখেছেন। তাঁর এক ভাইপোর নামেও ৫০ কোটি ডলারের সম্পত্তি আছে। পুতিনের তিন মেয়ের মধ্যে এক মেয়ের সম্পত্তির পরিমাণ ১০ কোটি ডলারেরও বেশি। ব্রিটেনের সারে এস্টেটের মতো অভিজাত এলাকায় প্রাসাদোপম বাড়িতে পুতিনের ওই মেয়ে থাকেন। তাঁর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকে রাশিয়ার পতাকা লাগানো লিম্যুজিন গাড়ি। এমনকী, বাড়ির পিছনে রয়েছে গল্ফ কোর্স ও হেলিপ্যাড। ২০০৩ সালে বাড়ির পরিচারিকার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরে পুতিনের এক কন্যা জন্মায়। কন্যার জন্মের পর ওই পরিচারিকার নামেও পুতিন ১০ কোটি ডলারেরও বেশি সম্পত্তি করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-কামিনী-কাঞ্চন ছাড়ছে না রাজ্য বিজেপিকে
সূত্রের খবর, কৃষ্ণসাগরের তীরে পুতিনের বিশাল এক প্রাসাদ রয়েছে। যার বাজারমূল্য ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি। সেই প্রাসাদের শৌচাগার পরিষ্কার করার জন্য যে ব্রাশ ব্যবহার করা হয় তার দাম নাকি ৬৫০ ডলার। শুধু রাশিয়া ও ব্রিটেনে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পুতিনের সম্পত্তি লুকিয়ে রাখা আছে। এছাড়াও বিভিন্ন সংস্থাতেও পুতিনের বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ আছে। আমেরিকা সহ একাধিক দেশ পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করার পর এবার তাঁর বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেতে নেমেছে ব্রিটিশ সংস্থা।