অবশেষে খোঁজ মিলল স্টিপানের, আপাতত ফ্রান্সেই নিরাপদ আশ্রয়ে

অবশেষে জানা গিয়েছে, দেশ ছেড়ে পোল্যান্ড হয়ে ফ্রান্সে আশ্রয় নিয়েছে সে। এই খবর সামনে আসতেই খুশি স্টিপানের ভক্তরা।

Must read

প্রতিবেদন : বিশ্ববাসী তাকে দেখেছে ইন্টারনেট আর সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতেই তার জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। যুদ্ধের বাজারে ইউক্রেনের বাসিন্দা স্টিপানের কী গতি হল তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন নেটিজেনরা। অবশেষে জানা গিয়েছে, দেশ ছেড়ে পোল্যান্ড হয়ে ফ্রান্সে আশ্রয় নিয়েছে সে। এই খবর সামনে আসতেই খুশি স্টিপানের ভক্তরা।

আরও পড়ুন-সাবওয়ের দাবিতে মিছিল

স্টিপান আদতে এক চারপেয়ে, চমৎকার একটি বিড়াল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নানারকম কাণ্ডকারখানা দেখতে অভ্যস্ত তার ভক্তরা। অ্যানা নামের একজন মহিলা স্টিপানের পরিচর্যা করতেন। তিনিই স্টিপানের হয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পেজটি নিয়ন্ত্রণ করেন। নিয়মিত স্টিপানের নানা মুডের ছবি পোস্ট করেন অ্যানা। এভাবেই স্টিপান গোটা বিশ্বের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিল। তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর ৩ মার্চ থেকে স্টিপানের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে আর কোনও কিছুই পোস্ট করা হচ্ছিল না। সকলেই বুঝতে পারছিল যে, যুদ্ধের অভিঘাতে বিপন্ন স্টিপান ও তার পরিবার। তাই দুশ্চিন্তা বাড়ছিল। অবশেষে শনিবার রাতে ফেসবুকে স্টিপানের একটি ছবি পোস্ট করা হয়। সেখানেই জানানো হয়েছে, ইউক্রেনবাসী স্টিপানের দেশ ছাড়ার খবর। অ্যানা তাঁদের যুদ্ধের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন-কামিনী-কাঞ্চন ছাড়ছে না রাজ্য বিজেপিকে

জানা গিয়েছে, যুদ্ধের কারণে প্রায় এক সপ্তাহ তাঁরা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় বেসমেন্টে আশ্রয় নিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত কোনওরকমে প্রাণ বাঁচাতে পোল্যান্ড সীমান্তে পৌঁছন। সীমান্তে অসংখ্য ঘরছাড়ার সঙ্গে দীর্ঘ নয় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের। এরপর ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে পোল্যান্ডে প্রবেশ করেন। পোল্যান্ডের এক পশুপ্রেমী সংগঠন স্টিপান ও তার পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। ওই সংগঠনের সহায়তায় স্টিপান ও তার পরিবারের সদস্যরা ফ্রান্সে গিয়ে পৌঁছয়। আপাতত নিরাপদে প্যারিসেই ঠাঁই হয়েছে চারপেয়ে স্টিপানের।

Latest article