প্রতিবেদন : দক্ষিণ চিনের ওয়াংঝাউ প্রদেশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সোমবার দুপুরে মাঝ আকাশেই ভেঙে পড়ল একটি যাত্রীবাহী বিমান। দুর্গম পার্বত্য এলাকায় ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা নিয়ে সরকারিভাবে মুখ না খোলা হলেও মনে করা হচ্ছে, বিমানের ১৩৩ জন যাত্রীর কেউই আর জীবিত নেই।
আরও পড়ুন-এবার কি কিয়েভ সফরে জনসন?
সোমবার দুপুর নাগাদ কানমিং থেকে আসছিল ওই ৭৩৭ বোয়িং বিমানটি। গুয়াংঝি প্রদেশে আচমকাই একটি পাহাড়ের উপর বিমানটি ভেঙে পড়ে। তবে কী কারণে বিমানটি ভেঙে পড়ল তা এখন জানা যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন বা সরকারের পক্ষ থেকেও এই বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে কোনও খবর জানানো হয়নি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। উদ্ধারকারীদের আশঙ্কা, কোনও যাত্রীকেই জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হবে না। যে বিমানটি এদিন ভেঙে পড়েছে সেটা ৬ বছরের পুরনো।
আরও পড়ুন-পুতিনের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেতে তদন্ত
জানা গিয়েছে, এদিন বেলা ১টা ১০ মিনিট নাগাদ কানমিং থেকে উড়েছিল বিমানটি। ৩টা ৫ মিনিটে তার গুয়াংঝাউ পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু ২টা ২২ মিনিটের পর পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের আর কোনও যোগাযোগ হয়নি। তার কিছু পরেই বিমান ভেঙে পড়ার খবর মেলে। ইতিমধ্যেই বিমান ভেঙে পড়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে চিনের এক বিমান ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল। বলা হয়, চিনের বিমানগুলির নিরাপত্তা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সেরা। তারপরেও এই বিপর্যয় কেন, সর্বোচ্চ পর্যায়ে তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে শি জিংপিং প্রশাসন৷