সংবাদদাতা, আসানসোল : ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স ছাড়া নরেন্দ্র মোদির হাতে আছেটা কী? এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির অপপ্রয়োগ করেই ওঁরা ক্ষমতায় টিকে আছেন। এই ইডি, সিবিআইয়ের জুজুতে অনেকেই মোদির বশ্যতা স্বীকার করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনওভাবেই নত করতে পারেনি কেন্দ্রের এই স্বৈরাচারী সরকার। আর সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরই সব থেকে বেশি আক্রোশ নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের। আসানসোলের রবীন্দ্রভবন ও রানিগঞ্জের জেকে নগরে আয়োজিত দুটি নির্বাচনী কর্মিসভায় এই ভাষাতেই বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন আসানসোল উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা (Shatrughan Sinha)। ভিড়ে ঠাসা রবীন্দ্রভবনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই বলিউড অভিনেতা বলেন, দেশকে যদি রক্ষা করতে চান তবে তৃণমূলের হাত ধরুন। কারণ দেশে তৃণমূলই একমাত্র দল যারা বিজেপিকে দিল্লি থেকে উপড়ে ফেলতে পারবে। ওরা যতই ইডি, সিবিআই দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করুক, ওদের পাশে মানুষ নেই। মানুষের ভোটে ওরা কোনও রাজ্যেই ক্ষমতায় নেই। মানুষে-মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করা ছাড়া বিজেপির অন্য কোনও অ্যাজেন্ডা নেই। আর সরকারের প্রধান অ্যাজেন্ডাই হল দেশের সম্পদ বেনিয়াদের হাতে জলের দরে বেচে দেওয়া। শত্রুঘ্ন (Shatrughan Sinha) বলেন, আপনারা নিশ্চয় লক্ষ্য করে থাকবেন উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ১৩৭ দিন বাড়েনি পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম। নির্বাচন পেরোতেই আবার স্বমূর্তি ধারণ করেছে স্বৈরাচারী এই সরকার। তাই যত তাড়াতাড়ি দেশ থেকে বিজেপি নামক এই আপদ দূর হয়, দেশের মানুষের জন্য ততই মঙ্গল বলে মন্তব্য করেন শত্রুঘ্ন। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আসানসোল থেকে দু’লক্ষ ব্যবধানে তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হবেন, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে কর্মীদের সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। কারণ বিজেপিকে নিয়ে বিগত দিনের অভিজ্ঞতা তো খুব সুখের নয়, ওরা দু’হাতে টাকা ছড়িয়ে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটিকেই প্রভাবিত করতে পারে।