প্রতিবেদন : ১১ মার্চের পর আর সেভাবে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোউজুকে। কী কারণে যুদ্ধ চলাকালীন হঠাৎই শোউজু বেপাত্তা হয়ে গেলেন তা নিয়ে একটা কৌতূহল তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সেই কৌতূহলের কিছুটা হলেও নিরসন হল। শনিবার ইউক্রেনের মন্ত্রী অ্যান্টন জেরাসচেঙ্কো বলেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে রুশ সেনা অভিযান সফল না হওয়ায় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ওপর প্রবল ক্ষুব্ধ ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
আরও পড়ুন-নাইট জার্সিতে গর্বিত শ্রেয়স
যুদ্ধ শুরুর পর এক পক্ষকাল কেটে গেলেও ইউক্রেন অধরা থাকায় বিষয়টি নিয়ে পুতিনের সঙ্গে উত্তপ্ত তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। শোউজুকে কড়া ধমক দিয়েছিলেন পুতিন। সবার সামনে এভাবে প্রেসিডেন্টের কাছে অপমানিত হওয়ায় হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তাঁর। সে কারণেই শোউজুকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। বরং তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোউজুকে দ্বিতীয় মাস্টারমাইন্ড বলা হয়েছে। কিন্তু ১১ থেকে ২৪ মার্চ তাঁকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। পরে তাঁকে টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে দেখা যায়।
আরও পড়ুন-নতুন পরীক্ষায় বিরাট-মায়াঙ্ক
তবে ওই টেলিভিশনের ফুটেজটি নতুন না পুরনো তা নিয়ে ধন্দ আছে। শোউজু হঠাৎ করেই অদৃশ্য হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন মহলে নানা জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই বলেছিলেন, পুতিনের কাছে ধমক খেয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী আড়ালে চলে গিয়েছেন। যদিও ক্রেমলিনের তরফে এই ধরনের গুজব উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, বিশেষ সামরিক অভিযান নিয়ে ব্যস্ত আছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সে কারণেই তিনি প্রকাশ্যে আসছেন না। তবে এদিন জেরাসচেঙ্কোর মন্তব্যে সেই বকুনির তত্ত্বই ফের আরও জোরদার হল।